Pages

Tuesday, September 27, 2011

 দাম প্রকাশ করে শেয়ার কিনতে চান উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা : সালমান


বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, বড় মূলধনের কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা একটি নির্দিষ্ট দাম প্রকাশ করে নিজ কোম্পানির শেয়ার কিনতে চান। বাজারের অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এসইসিকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারির অনুরোধও করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন একটি ট্রেডিং বোর্ড চালু করা এবং DSEর সাধারণ মূল্যসূচক নতুন করে গণনারও সুপারিশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিএপিএলসির নির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সালমান বলেন, বাজারে তারল্য-সংকট মূল সমস্যা নয়, বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটই মূল সমস্যা। তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট দাম ঘোষণা করে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা শেয়ার কিনলে ওই দামের নিচে যাবে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে এবং ভয়ে শেয়ার বিক্রির প্রবণতাও কমে যাবে। বাজারের দরপতন ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে গতকাল প্রথম আলোয় ‘সালমান ও রকিবুর শেয়ারবাজারের দায়িত্ব নিলেন!’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর সম্পর্কে সালমান বলেন, ‘আমাকে কেউ দায়িত্ব দেয়নি। বিএপিএলসির সভাপতি হিসেবে নিজ দায়িত্বে আমি এটা করেছি। বাজারের খারাপ অবস্থা দেখে আমি এগিয়ে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এক বৈঠকে রকিবুর রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।’
সালমান বলেন, ‘আমরা Dhaka Stock Exchange এর General Index পুনর্গণনা চাইছি। এ ছাড়া ডিএসআই সূচক বাদ দিয়ে বিদ্যমান ডিএসই২০ সূচকের স্থলে ডিএসই৩০ সূচক চালুর সুপারিশ করেছি।’
বিএপিএলসির সভাপতি আরও বলেন, ডিএসইতে দ্বিতীয় আরেকটি লেনদেনের বোর্ড হওয়া উচিত। দ্বিতীয় এই বোর্ডে স্বল্প মূলধনের কোম্পানি, জেড ক্যাটাগরি, বি ক্যাটাগরি ও ওটিসি বাজারে থাকা কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হবে। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য খাতওয়ারি মূল্য আয় (পিই) অনুপাত নির্ধারণ করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট খাতের কোম্পানির পিই নির্ধারিত ওই অবস্থায় চলে গেলে সাধারণভাবেই দ্বিতীয় ওই বোর্ডে চলে যাবে। আবার পিই নির্ধারিত অবস্থার নিচে নেমে এলে প্রধান বোর্ডে চলে আসবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সব কোম্পানি একই বোর্ডে লেনদেন হয়। এতে বিভিন্ন কোম্পানির অবস্থান জানা বিনিয়োগকারীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন বোর্ড চালু হলে বিনিয়োগকারীরা সহজেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অবস্থা জানতে পারবেন। বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করতে পারবেন। আমরা শিগগিরই বিষয়গুলো ডিএসই, সিএসই ও এসইসিকে জানাব।’
মার্জিন ঋণের ব্যাপারে সালমান বলেন, যাঁরা বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন দরপতনের কারণে পোর্টফোলিওতে টাকা কমে যাওয়ায় তাঁরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। বর্তমান অবস্থায় শেয়ার বিক্রি করতে গিয়ে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলোও সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি), বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা নীতিগতভাবে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। এ ছাড়া কাল ডিএসইর বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতাদের সঙ্গেও কথা বলব। এরপর সবাইকে একটি স্কিম—এ রাজি করানোর চেষ্টা করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নির্বাহী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি প্রকাশ করা হবে।’


NEWS SOURCE

No comments:

Post a Comment