Pages

Friday, September 30, 2011

 ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠন হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ড : Market Stabilisation Fund for Dhaka Stock Market

পুঁজিবাজারে প্রান্তিক ঋণের সংকট থেকে উদ্ধারের উপায় হিসেবে বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল (এমএসএফ) নামে বেসরকারি পর্যায়ে একটি বেমেয়াদি বা ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়। এর আগে গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ এ ধরনের একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগে সম্মত হয়।
বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, পুঁজিবাজারে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারের বিপরীতে প্রান্তিক ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন। এর পরিমাণ পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বাজার ক্রমাগতভাবে কমতে থাকায় ঋণ জোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে পুঁজি হারিয়ে দুজন বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করেছেন। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি এফবিসিসিআইও বাজার স্থিতিশীল করতে এগিয়ে এসেছে।
এ কে আজাদ বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ৩০০ কোটি টাকা সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এবং ব্রোকার-ডিলারও যাতে করে বাজারকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএপিএলসির সভাপতি সালমান এফ রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি শালিক রিজভী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখর উদ্দীন আলী আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিলের ধারণাপত্র প্রকাশ করেন সালমান এফ রহমান। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা তহবিলের ইউনিটের বিপরীতে তাঁদের বিনিয়োগ কোষ বা পোর্টফোলিও বিনিময় করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ কোষের সব দায় তহবিল নিয়ে নেবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক বা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বা উভয়ে যৌথভাবে স্বেচ্ছা ভিত্তিতে তহবিল স্থানান্তর করতে পারবে। এমনকি যেসব বিনিয়োগকারীর কোনো ঋণ নেই, তাঁরাও চাইলে নিজের বিনিয়োগ কোষ তহবিলের ইউনিটের বিপরীতে স্থানান্তর করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কোষে থাকা শেয়ারের ক্রয়মূল্যের সঙ্গে বর্তমান বাজার ধরে একটি প্রিমিয়ামসংবলিত মূল্যে তহবিল ইউনিট বিনিময় করবেন।
অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগ কোষে থাকা শেয়ারের ক্রয়মূল্য দুই লাখ টাকা হলে বিনিয়োগকারী সমপরিমাণ আর্থিক মূল্যের ইউনিট তো পাবেনই, উপরন্তু বর্তমান বাজারমূল্যের ওপর প্রিমিয়াম ধার্য করে অতিরিক্ত ইউনিট দেওয়া হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রিমিয়াম কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ঠিক করবে। তাঁর মতে, বিভিন্ন বিনিয়োগ কোষের শেয়ার একটি ব্যবস্থাপনার অধীনের চলে এলে বাজারে বিক্রির চাপ কমবে। ফলে বিনিয়োগ কোষ হস্তান্তরের পর তার বিনিময়মূল্যও বাড়বে। তা ছাড়া একক বিনিয়োগ কোষের তুলনায় একটি জায়গা থেকে অনেক বিনিয়োগ কোষ পরিচালিত হওয়ায় বিনিয়োগের নিরাপত্তা বেশি নিশ্চিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, যেসব ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এমএসএফের ইউনিটের বিনিময়ে তাদের বিনিয়োগ কোষ হস্তান্তর করবে, তারা বিনিয়োগ কোষের বিপরীতে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে দুই বছর কোনো সুদ নিতে পারবে না। এ জন্য তাদের ঋণের শ্রেণীকরণ ও ঋণের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং দুই বছর মুলতবি রাখার জন্য এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।
ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, এমএসএফ পরিচালনার জন্য পৃথক একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (এএমসি) গঠন করা হবে। এ জন্য শিগগিরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কাছে আবেদন করা হবে। এএমসি পরিচালিত হবে পেশাদার সম্পদ ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে।
মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার-ডিলার, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী বাংলাদেশি ও উচ্চ আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এমএসএফের উদ্যোক্তা হবেন; প্রাথমিকভাবে যাঁরা তহবিলটিতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ইউনিট বিনিময়ের পর তহবিলের মোট আকার চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
------------------------------------------------------------------------------------

New fund to prop up troubled Dhaka Stockmarket


The private sector has stepped in to rescue the ailing stockmarket with a 'market stabilisation fund' that also aims to give a new lease of life to retail investors who incurred losses.
AK Azad, president of the Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry (FBCCI), yesterday announced a concept paper on the fund after a meeting with private sector stakeholders, the stock exchanges and a group of retail investors.
“The purpose of the fund is to mitigate the financial losses of retail investors, especially those who trade on credit,” said Azad.
With a continuous downward trend, the portfolio values of the investors, who trade on margin loans, are declining; interest charges are increasing, and the situation is forcing many to forced-sale, he said.
The FBCCI will request the central bank to halt the interest charges against the margin loans for two years, so that the merchant banks cannot sell shares by force, said Azad, who presided over the meeting. The meeting aimed at finding ways to recover from the stockmarket crisis.
“We also discussed the market situation with the Banker's Association of Bangladesh that agreed to give Tk 300 crore to the stockmarket. Bangladesh Insurance Companies Association and Bangladesh Association of Publicly Listed Companies (BAPLC) also assured us of support,” said Azad.
Salman F Rahman, president of BAPLC, said the fund will be similar to an open-ended mutual fund in nature and tradable on the secondary market.
“Initially Tk 500 crore will be given to the fund by all private banks, insurance companies, non-bank financial institutions, merchant banks, stockbrokers, listed companies and interested non-resident Bangladeshis,” he said.
Portfolios against the margin loans will be transferred to the fund on a voluntary basis by either the investors or the lender, or both. In exchange, the fund will issue units equivalent to the purchase value of the portfolio and also for the prevailing market value of the portfolio as premium, he said.
Investors who do not trade on margin loans can also get the unit transferring their portfolios to the fund, said Rahman, also vice-chairman of Beximco Group.
“It will leave an impact on the market in two ways. Firstly, since many different portfolios will be transferred into the fund in exchange for fund units, the net asset value (NAV) of the units is likely to rise,” he said.
Generally, lenders provide credit to the investors for purchasing fundamentally strong securities. The present economic situation is not such that any of them is performing poorly or near shutdown.
“Rather, our economic condition is very good with an assumption of a 7 percent GDP growth, 44 percent export growth and an increasing trend in remittance inflow,” Rahman added.
Secondly, the tendency towards selling of shares will stop. “Sell-offs are now a major problem in the market, as investors try to sell shares whenever the market sees an upward trend,” he said.
As the fund will be tradable in the stock exchanges, subject to regulatory approval, the unit holders will have scope to sell, if he or she wants, the BAPLC president said.
Rahman also said applications will be submitted to the Securities and Exchange Commission to grant a new licence for an asset management company, which will manage and operate the fund.

News Source



News from the Daily Star

No comments:

Post a Comment