Pages

Sunday, September 25, 2011

বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করবে DSE

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের বিষয়টি মাথায় রেখে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যেসব বিনিয়োগকারী মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে ঋণ (মার্জিন লোন) নিয়েছে তাদের ঋণের সুদ মওকুফের সুপারিশ করা হবে। এ ছাড়া শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা একদিন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শেয়ার ক্রয়ে আর্থিক সমন্বয় (ফিন্যান্সিয়াল নেটিং) সুবিধা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।
গতকাল ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) এসব প্রস্তাব পাঠাবে ডিএসই। এসইসি এসব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এ ব্যাপারে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বণিক বার্তাকে বলেন, পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক ধসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ জন্য ডিএসইর পক্ষ থেকে মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ করার প্রস্তাব করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের হয়তো নামমাত্র ফি দিতে হবে। যাতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোও তাদের পরিচালন ব্যয় মেটাতে পারে। তারাও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, বাজারের লেনদেন কমে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে শেয়ার নিষ্পত্তির সময়সীমা একদিন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসইসি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া শেয়ার ক্রয়ে আর্থিক সমন্বয় সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে সঙ্গে সঙ্গেই অন্য কোম্পানির শেয়ার যাতে কেনা যায় এ জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসইসির সঙ্গে গত সোমবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এসব ব্যাপারে আলোচনা করে। ওই বৈঠকে এসইসিও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত সোমবার অব্যাহত দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে এসইসি। এসইসি, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে সিডিবিএলও লেনদেনের সময়সীমা কমিয়ে আনার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। তারা জানায়, একদিন কম হলেও গ্রাহকদের হিসাবে শেয়ার বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হবে।
‘এ’ শ্রেণীর শেয়ারের জন্য ম্যাচিউরিটির সময় তিন দিনের পরিবর্তে দুই দিনে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে শেয়ার কেনার তিন দিন পর তা ক্রেতার বিও হিসাবে আসে। চতুর্থ কার্যদিবসে তা বিক্রি করা যায়। এমনকি ‘জেড’ শ্রেণীর শেয়ার ক্রয় করলে ম্যাচিউর্ড হতে ১০ দিন লেগে যায়। এটি অনেক পুরাতন পদ্ধতি। এ সময় আরও কমিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে একদিনেই ক্রেতার হিসাবে তা বুঝিয়ে দিতে হবে। এতে লেনেদেনে মন্দাভাব কাটবে ও বাজারে গতিশীলতা ফিরবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 
যেকোনো শেয়ারে নেটিং (সমন্বয়) সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। বর্তমানে শুধু বিও হিসাবে নগদ টাকা থাকলেই শেয়ার কেনা যায়। নেটিং করে যেন যেকোনো ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে পারে, এ বিষয়ে এসইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিষয়গুলো বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়।

http://bonikbarta.com/2011-09-15/news/details/6496.html

No comments:

Post a Comment