শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর এখন ভয়ানক দুর্দিন। কোনো বিনিয়োগকারীই মিউচুয়াল ফান্ড কিনে লাভ করতে পারেনি। যারা ফান্ডের নিট সম্পদ বা এনএভি অপেক্ষা বেশি মূল্যে কিনেছে, তারাও মার খেয়েছে। যারা পরে বুঝেশুনে এনএভির নিচে কিনেছে, তারাও মার খেয়েছে। এর মূল কারণ হলো শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের অব্যাহত পতন। প্রায় সব মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপকরা (Asset Management Company) সংগৃহীত অর্থের ৯০ শতাংশ দিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনেছে। যতই ওইসব ধারণকৃত শেয়ারের বাজার মূল্য কমছে, ততই ওইগুলোর পেছনে নিট সম্পদের সমর্থন বা এনএভিও কমে যাচ্ছে। যেসব ব্যবস্থাপক বাজারের গতিকে শুদ্ধভাবে পড়তে সক্ষম হয়েছিল, তারাই যথাসময়ে শেয়ার বেচে কিছু টাকা বাঁচাতে পেরেছে মাত্র। তাদের ব্যবস্থাকৃত ফান্ডগুলোর এনএভি ভালো থাকার কথা। অন্য যারা অতি চড়া মূল্যের বাজারে প্রবেশ করে মানুষ থেকে সংগৃহীত অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে এবং বাজার বাড়বে সে আশায় বসে ছিল, তারা ব্যর্থ ফান্ড ম্যানেজার বলে এরই মধ্যে প্রমাণ দিয়েছে। তবে সত্য হলো, বর্তমান অবস্থায় ইউনিট খরিদকারীদের তথা ফান্ডে অর্থ জোগানদাতাদের পক্ষে কোন ফান্ড ম্যানেজার কত মূল্যে কোন শেয়ার কিনেছে, তা জানার উপায় নেই। কারণ পুরো পোর্টফোলিও দেখানোর বাধ্যবাধকতা রেগুলেটর এসইসি করেনি। ফলে রেগুলেশন শর্তানুযায়ী, ক্রেতারা ফান্ডগুলোর শুধু ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভি জানে প্রতি সপ্তাহে। এনএভি হিসাব করা হয় শেয়ার সংখ্যাকে বর্তমান মূল্য দ্বারা গুণ করে। ফলে যে ফান্ড ম্যানেজার বোকার মতো ক্রয়কৃত শেয়ার ধরে বসে থাকেন, তাদের ম্যানেজকৃত ফান্ডগুলোর এনএভি শেয়ারবাজার পতনের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। আর এতে বিনিয়োগকারীরা শুধু অর্থ হারাতে থাকে। সে জন্যই সারা বিশ্বে মিউচুয়াল ফান্ড এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির Rating ও Ranking হয়। তাতে কে কতটা দক্ষ, সে ব্যাপারে ইউনিট ক্রয়কারীরা একটা ধারণা পায়।
বাংলাদেশে প্রথম থেকেই মিউচুয়াল ফান্ডকে ভুলভাবে বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ড বা এমএফগুলোকে কোম্পানির শেয়ার মনে করেছিল। ফলে তারা এগুলোর অন্তর্নিহিত মূল্য বা সম্পদ মূল্য সম্বন্ধে মোটেই ভাবেনি। আর সে জন্যই ২০০৯-এর জুনে বাজারে প্রবেশ করে আয়েশা আকতার ১৫ টাকার এনএভির এমএফ খরিদ করেছে ৫৫ টাকায়। পরে সে ভুল বুঝতে পেরে ইউনিটগুলোকে ২৫ টাকায় বেচে তার অর্ধেক পুঁজি রক্ষা করতে পেরেছিল। আয়েশার সেই এমএফের বর্তমান বাজার মূল্য মাত্র ১০ টাকা। তার মানে আয়েশা পুঁজি হারিয়েছে; কিন্তু আরও পুঁজি হারানো থেকে নিজেকে রক্ষা করেছে। এমএফগুলো সাধারণত স্মার্ট ইনভেস্টররা কেনে না। এগুলো হলো আয়েশাদের মতো হাউসওয়াইফদের জন্য, যারা শেয়ারবাজারের নির্দিষ্ট শেয়ারের ফান্ডামেন্টালস বের করে শেয়ার কিনতে অক্ষম। আর এগুলো নিরাপদ এ অর্থে যে, এসব এমএফ কম ওঠানামা করে। ধরে নেয়া হয়, সম্পদ ব্যবস্থাপক অতি দক্ষতা ও সততার সঙ্গে আয়েশার মতো বিনিয়োগকারীদের থেকে নেয়া অর্থ ব্যবহার করবে এবং বছরশেষে ইউনিটপ্রতি একটি ভালো মুনাফা দেবে— যা ব্যাংক অথবা সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের থেকে বেশি। যেহেতু এটা সাধারণ লোকদের বিনিয়োগ হাতিয়ার, সে জন্য এমএফের মূল্যের একটি সরলীকৃত সমীকরণ আছে, যা এই রূপ— Pmf=NAV±10%NAV। তবে এ ফর্মুলা সবসময় খাটে না। আজকে খারাপ বাজারে অনেক এমএফ এনএভির ১০ শতাংশের অনেক নিচেও বিক্রি হচ্ছে। এটা এ জন্যই পাছে এমএফগুলো আরও এনএভি হারায়। যাহোক, এখন অন্য কথায় আসি। সাধারণ লোক তো মিউচুয়াল ফান্ড বা এমএফগুলো কিনে চিন্তার বাইরে মার খেয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর ইউনিটপ্রতি একটা মুনাফা পেয়েও যে কয়েক বছরে বিনিয়োগকৃত অঙ্ক পুষিয়ে নিতে পারছে, সে আশাটাও দেখছে না। এর অন্য কারণ হলো, রাজস্ব বোর্ডও এমএফগুলোর প্রতি বৈরী অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা তিন স্তরে এমএফগুলোর আয়ের ওপর ট্যাক্স বসিয়েছে। প্রথমত, এমএফগুলো যেসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে ডিভিডেন্ড পায়, সেসব কোম্পানি তো তাদের নিট আয়ের ওপর ২৭-৪২ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট আয়কর রাজস্ব বোর্ডকে দিচ্ছে। অন্য কথায় ইউনিট খরিদকারী তথা এমএফের সাবসস্ক্রাইবারদের অর্থ দিয়ে সম্পদ ব্যবস্থাপক যে কোম্পানির শেয়ার কিনল, সে কোম্পানি তো প্রকৃত অর্থে ইউনিটধারীদের অর্থ দিয়েই ব্যবসা করল এবং সেই ব্যবসার আয় থেকে ২৭-৪২ দশমিক ৫ শতাংশ কর নেয়া হলো। দ্বিতীয়ত, যখন এমএফগুলোর বার্ষিক লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়, তখন সেই লভ্যাংশ থেকেও ১০ শতাংশ কর কেটে নেয়া হচ্ছে। আর এই কর্তনের পর ব্যক্তি যখন আয়টা হাতে পায়, তখন তাকেও আরও ১০ থেকে ২৫ শতাংশ এ আয়ের ওপর পুনঃট্যাক্স দিতে হবে। যেকোনো বিবেচনায়ই এটা ডবল ট্যাক্সেশনের শামিল। অনেক দেশেই একই আয়ের দ্বিতীয়বার ট্যাক্স দেয়ার বিধান বহু আগেই উঠে গেছে।
আমাদের এ অর্থনীতিতে একই আয়ের ওপর দুবার ট্যাক্স বসানোর প্রচলনটা এখনো আছে। বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের এখানে এমএফগুলো যখন কোম্পানি থেকে ডিভিডেন্ড লাভ করে, তখন কিন্তু বেশি আর কম ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়েই গ্রহণ করছে। এ দেয়াকে তো ইউনিটহোল্ডারদের পক্ষ থেকে ফাইনাল ট্যাক্স দেয় হিসেবে গ্রহণ করা উচিত ছিল। বর্তমান রাজস্ব নিয়মের ফলে যারা সরাসরি কোম্পানির শেয়ার কিনছে, তারা কিন্তু কম ট্যাক্স দিচ্ছে। কারণ তাদের ক্ষেত্রে উেস ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। পরে তারা ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নের সঙ্গে এই ১০ শতাংশকে সমন্বয় করে যদি বাড়তি কর দিতে হয়, দিয়ে দেয়। আর একই ব্যক্তি এমএফের ইউনিট খরিদ করলে তাকে আরও একটি অতিরিক্ত স্তরে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আমি আশা করি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বৈপরীত্যটা লক্ষ করবে এবং এমএফের আয়কে ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করবে। ব্যক্তি এমএফ থেকে লভ্যাংশ পেলে সেটা আয়করের আওতায় আনা যেতে পারে। কিন্তু এমএফ নিজে যখন কোম্পানি থেকে আয় গ্রহণ করে, সে আয়কে ট্যাক্স নেটের বাইরে রাখা হোক। এমনিতে আমাদের সমাজে বড়লোকরা বিপুল ট্যাক্স সুবিধা পাচ্ছে। তারা দেড় কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে ট্যাক্স কত দিচ্ছে, সেটা রাজস্ব বোর্ড জানার কথা। যারা বছর বছর প্লট-ফ্ল্যাট কিনছে, তারাও কি সম্পূর্ণভাবে ২৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিয়ে ওইসব সম্পত্তি কিনছে? যাদের বৈধ আয়ের উত্স নেই, তারা কী করে এ সমাজে এত সম্পত্তির মালিক হচ্ছে? সম্পত্তি ও আয়ের বৈধতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত না হলে সমাজে দুর্নীতি বাড়বে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আয়েশা আকতারদের, যারা সঞ্চয়ের টাকা এমএফের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে খাটিয়েছে। আমি রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করব সহজ ট্যাক্সের ক্ষেত্রগুলোয় আরও ট্যাক্স না বসিয়ে অন্য দুষ্ট লোকেরা কীভাবে রাতারাতি গাড়ি-বাড়ির মালিক হচ্ছে, সে বিষয়গুলো বেশি নজরদারিতে আনার জন্য।
বাংলাদেশে প্রথম থেকেই মিউচুয়াল ফান্ডকে ভুলভাবে বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ড বা এমএফগুলোকে কোম্পানির শেয়ার মনে করেছিল। ফলে তারা এগুলোর অন্তর্নিহিত মূল্য বা সম্পদ মূল্য সম্বন্ধে মোটেই ভাবেনি। আর সে জন্যই ২০০৯-এর জুনে বাজারে প্রবেশ করে আয়েশা আকতার ১৫ টাকার এনএভির এমএফ খরিদ করেছে ৫৫ টাকায়। পরে সে ভুল বুঝতে পেরে ইউনিটগুলোকে ২৫ টাকায় বেচে তার অর্ধেক পুঁজি রক্ষা করতে পেরেছিল। আয়েশার সেই এমএফের বর্তমান বাজার মূল্য মাত্র ১০ টাকা। তার মানে আয়েশা পুঁজি হারিয়েছে; কিন্তু আরও পুঁজি হারানো থেকে নিজেকে রক্ষা করেছে। এমএফগুলো সাধারণত স্মার্ট ইনভেস্টররা কেনে না। এগুলো হলো আয়েশাদের মতো হাউসওয়াইফদের জন্য, যারা শেয়ারবাজারের নির্দিষ্ট শেয়ারের ফান্ডামেন্টালস বের করে শেয়ার কিনতে অক্ষম। আর এগুলো নিরাপদ এ অর্থে যে, এসব এমএফ কম ওঠানামা করে। ধরে নেয়া হয়, সম্পদ ব্যবস্থাপক অতি দক্ষতা ও সততার সঙ্গে আয়েশার মতো বিনিয়োগকারীদের থেকে নেয়া অর্থ ব্যবহার করবে এবং বছরশেষে ইউনিটপ্রতি একটি ভালো মুনাফা দেবে— যা ব্যাংক অথবা সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের থেকে বেশি। যেহেতু এটা সাধারণ লোকদের বিনিয়োগ হাতিয়ার, সে জন্য এমএফের মূল্যের একটি সরলীকৃত সমীকরণ আছে, যা এই রূপ— Pmf=NAV±10%NAV। তবে এ ফর্মুলা সবসময় খাটে না। আজকে খারাপ বাজারে অনেক এমএফ এনএভির ১০ শতাংশের অনেক নিচেও বিক্রি হচ্ছে। এটা এ জন্যই পাছে এমএফগুলো আরও এনএভি হারায়। যাহোক, এখন অন্য কথায় আসি। সাধারণ লোক তো মিউচুয়াল ফান্ড বা এমএফগুলো কিনে চিন্তার বাইরে মার খেয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর ইউনিটপ্রতি একটা মুনাফা পেয়েও যে কয়েক বছরে বিনিয়োগকৃত অঙ্ক পুষিয়ে নিতে পারছে, সে আশাটাও দেখছে না। এর অন্য কারণ হলো, রাজস্ব বোর্ডও এমএফগুলোর প্রতি বৈরী অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা তিন স্তরে এমএফগুলোর আয়ের ওপর ট্যাক্স বসিয়েছে। প্রথমত, এমএফগুলো যেসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে ডিভিডেন্ড পায়, সেসব কোম্পানি তো তাদের নিট আয়ের ওপর ২৭-৪২ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট আয়কর রাজস্ব বোর্ডকে দিচ্ছে। অন্য কথায় ইউনিট খরিদকারী তথা এমএফের সাবসস্ক্রাইবারদের অর্থ দিয়ে সম্পদ ব্যবস্থাপক যে কোম্পানির শেয়ার কিনল, সে কোম্পানি তো প্রকৃত অর্থে ইউনিটধারীদের অর্থ দিয়েই ব্যবসা করল এবং সেই ব্যবসার আয় থেকে ২৭-৪২ দশমিক ৫ শতাংশ কর নেয়া হলো। দ্বিতীয়ত, যখন এমএফগুলোর বার্ষিক লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়, তখন সেই লভ্যাংশ থেকেও ১০ শতাংশ কর কেটে নেয়া হচ্ছে। আর এই কর্তনের পর ব্যক্তি যখন আয়টা হাতে পায়, তখন তাকেও আরও ১০ থেকে ২৫ শতাংশ এ আয়ের ওপর পুনঃট্যাক্স দিতে হবে। যেকোনো বিবেচনায়ই এটা ডবল ট্যাক্সেশনের শামিল। অনেক দেশেই একই আয়ের দ্বিতীয়বার ট্যাক্স দেয়ার বিধান বহু আগেই উঠে গেছে।
আমাদের এ অর্থনীতিতে একই আয়ের ওপর দুবার ট্যাক্স বসানোর প্রচলনটা এখনো আছে। বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের এখানে এমএফগুলো যখন কোম্পানি থেকে ডিভিডেন্ড লাভ করে, তখন কিন্তু বেশি আর কম ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়েই গ্রহণ করছে। এ দেয়াকে তো ইউনিটহোল্ডারদের পক্ষ থেকে ফাইনাল ট্যাক্স দেয় হিসেবে গ্রহণ করা উচিত ছিল। বর্তমান রাজস্ব নিয়মের ফলে যারা সরাসরি কোম্পানির শেয়ার কিনছে, তারা কিন্তু কম ট্যাক্স দিচ্ছে। কারণ তাদের ক্ষেত্রে উেস ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। পরে তারা ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নের সঙ্গে এই ১০ শতাংশকে সমন্বয় করে যদি বাড়তি কর দিতে হয়, দিয়ে দেয়। আর একই ব্যক্তি এমএফের ইউনিট খরিদ করলে তাকে আরও একটি অতিরিক্ত স্তরে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আমি আশা করি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বৈপরীত্যটা লক্ষ করবে এবং এমএফের আয়কে ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করবে। ব্যক্তি এমএফ থেকে লভ্যাংশ পেলে সেটা আয়করের আওতায় আনা যেতে পারে। কিন্তু এমএফ নিজে যখন কোম্পানি থেকে আয় গ্রহণ করে, সে আয়কে ট্যাক্স নেটের বাইরে রাখা হোক। এমনিতে আমাদের সমাজে বড়লোকরা বিপুল ট্যাক্স সুবিধা পাচ্ছে। তারা দেড় কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে ট্যাক্স কত দিচ্ছে, সেটা রাজস্ব বোর্ড জানার কথা। যারা বছর বছর প্লট-ফ্ল্যাট কিনছে, তারাও কি সম্পূর্ণভাবে ২৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিয়ে ওইসব সম্পত্তি কিনছে? যাদের বৈধ আয়ের উত্স নেই, তারা কী করে এ সমাজে এত সম্পত্তির মালিক হচ্ছে? সম্পত্তি ও আয়ের বৈধতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত না হলে সমাজে দুর্নীতি বাড়বে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আয়েশা আকতারদের, যারা সঞ্চয়ের টাকা এমএফের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে খাটিয়েছে। আমি রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করব সহজ ট্যাক্সের ক্ষেত্রগুলোয় আরও ট্যাক্স না বসিয়ে অন্য দুষ্ট লোকেরা কীভাবে রাতারাতি গাড়ি-বাড়ির মালিক হচ্ছে, সে বিষয়গুলো বেশি নজরদারিতে আনার জন্য।
Bonik Barta 27th Sept 2011
No comments:
Post a Comment