Pages

Wednesday, October 26, 2011

BAB - Bankers' fund to enter market Nov-end

Dhaka, Oct 25 (bdnews24.com) — The Stock Market Stabilisation Fund or SMSF will flow into the market in the last week of November.

After a meeting with market regulator Securities and Exchange Commission (SEC) on Tuesday, Bangladesh Association of Banks (BAB) chairman Nazrul Islam Mazumder told reporters, "We hope the fund will be in the market after all processes end by the last week of November."

"It will start initially with Tk 10 billion," Nazrul added.

He said the SEC has assured all help in this regard.

On Sunday, Nazrul said, "We have decided in principle to make the investments as soon as possible after receiving approval from the central bank and the share market regulator."

On Tuesday, he said, "Bangladesh doesn't have any asset management company to manage such a big fund. So we'll have to form an asset management committee, too."

The BAB chairman also insisted the fund is different from the banks' portfolio investment. "The banks are going to invest within the legal limit."

On Oct 20, Association of Bankers, Bangladesh (ABB) said they will start investing in the capital market from Sunday to bolster the sagging market. The exposure limit for banks in the capital market has been increased to 10 percent of their liabilities.

The bank owners' body chief also said 20 banks will contribute Tk 200 million each to this fund. Besides them, insurance association and listed companies will also subscribe to the fund to participate.

The announcements came after weeks of discussions on the issue as ministers, regulators and stock brokers sought to end protests by small investors over the past weeks. The investors have been calling for measures to pull up prices after indices plunged to lows on consecutive trading days early last week.

On Dec 5 last year, the DSE general index reached a record 8918 points. Unrest began in the market the following day, and December and January saw free fall.

Following the budget in June when the government allowed undisclosed income into the market, the bourses saw a month of improvement. However, the fluctuations returned by the end of July.

Tuesday, October 25, 2011

এই মুহূর্তে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময় কমছে না

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই মুহূর্তে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময়সীমা কমানো হচ্ছে না। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে বিষয়টি কার্যকর হবে। আজ মঙ্গলবার ডিএসইর পরিষদ সভায় (বোর্ড মিটিং) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঈদের পরের বুধ ও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী জানান, বাজারের অবস্থা ভালো না হওয়ায় এই মুহূর্তে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময়সীমা কমানো হচ্ছে না। বাজার স্বাভাবিক হলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এর আগে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময়সীমা টি+৩ থেকে টি+২-তে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে দায়িত্ব দেয় এসইসি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইর পর্ষদ সভায় বিষয়টি পরে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী জানান, আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ঈদ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। তাই ঈদ ৭ অথবা ৮ নভেম্বর হতে পারে। আজকের বৈঠকে ৯ ও ১০ নভেম্বর অর্থাত্ বুধ ও বৃহস্পতিবার লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

করপোরেট গভর্নেন্স ও ইনসাইডার ট্রেডিং-সংক্রান্ত দুটি কমিটি গঠন

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট গভর্নেন্স যুগোপযোগীকরণ এবং পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করার লক্ষ্যে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। আজ মঙ্গলবার এসইসির নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাইফুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট গভর্নেন্সের জন্য একটি গাইডলাইন রয়েছে। এই গাইডলাইনকে কীভাবে যুগোপযোগী, জবাবদিহিমূলক ও আরও গতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. ফরহাদ আহমেদকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান ও পরিচালক মাহমুদুল হক। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছে।
এ কমিটি করপোরেট গভর্নেন্সের গাইডলাইনটি পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করবে বলে জানান ফরহাদ আহমেদ।
সাইফুর রহমান আরও বলেন, পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং (সুবিধাভোগী ব্যবসা) কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং এ-সংক্রান্ত বিধিমালা আরও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিরও আহ্বায়ক এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। অন্য দুই সদস্য হলেন নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম। এ কমিটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে কমিশনের কাছে।
সাইফুর রহমান বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সুবিধাভোগী ব্যবসা নিয়ম নিষিদ্ধকরণ বিধিমালা ১৯৯৫-কে আরও যুগোপযোগী ও গতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে কমিটি বিধিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করবে।
বাজারে প্রায়ই ইনসাইডার ট্রেডিং হয়ে থাকে। তাই ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধের লক্ষ্যে এ কমিটি কাজ করবে।

Monday, October 24, 2011

BAB announces launching of market stabilisation fund - Banks to invest Tk 10b initially


Private commercial banks (PCBs) announced Sunday the launching of a Tk 50 billion stock market stabilisation fund (SMSF) to help revamp the country's stock market.

They will initially invest Tk 10 billion in the proposed fund, the size of which will be enhanced gradually.

The announcements came after an emergency meeting of the Bangladesh Association of Banks (BAB), a platform of owners of PCBs, held at its city office on the day with its Chairman Nazrul Islam Mazumdar in the chair.

At the meeting, the BAB decided that each of its member-banks would contribute Tk 200 million to the proposed SMSF while an amount of Tk 100 million would come from non-banking financial institutions (NBFIs), insurance companies and interested publicly listed companies.

Sixteen out of 29 BAB members attended the meeting while Chairman of the Bangladesh Insurance Association Sheikh Kabir Hossain was also present as an invited guest.

"We've decided to establish the fund aiming to bring back stability in the country's stock market," the BAB chairman told reporters after the meeting, adding that the fund will go into

operation shortly after receiving its approval from the central bank and the capital market regulator.

"We think that the PCBs will not face any hurdle to invest Tk 200 million to the fund," Mr Mazumdar said while replying to a query.

Some banks have already started making fresh investment in the stock market, he said, adding that the banks may invest Tk 400 billion-Tk 450 billion in the market.

The BAB chairman also said the fund will be operated like a mutual fund and its size will cross Tk 50 billion.

"An asset management company (AMC) will operate the fund in line with the existing rules and regulations," President of the Bangladesh Association of Publicly Listed Companies (BAPLC) Salman F Rahman said, while replying to a question.

The BAB has asked its member-banks to confirm their firm commitment to making their investment in the proposed fund by October 31 this year.

Another meeting of the BAB will be held after receiving such commitments from its member-banks, a private banker close to the BAB told the FE.

The meeting discussed in details the possibilities for participation of other financial institutions, insurance companies and publicly listed companies as sponsors of SMSF, in addition to that of banks. This was indicated in a working paper on the fund that dealt with issues on which decisions were required.

After discussions, the decision was taken in favour of such participation by financial institutions other than banks.

Three-page working paper, which was placed before the BAB's meeting on Sunday, also indicated the SMSF would be managed by a new AMC whose paid up capital would be Tk 100 million to be subscribed by the sponsors of the SMSF on a pro rata basis of 1.0 per cent of the contribution to the fund.

"This amount will be in addition to the sponsors' contribution to the fund," it said, adding that the board of directors of the AMC will comprise reputed and competent persons of the society, not in any way related to the sponsors of the SMSF.

The board of directors of the AMC will appoint a professional chief executive officer (CEO) who will be responsible for the day-to-day management of the AMC, according to the paper.

Saturday, October 22, 2011

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে বিএবি’র ৫ হাজার কোটি টাকা


পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকর্স (বিএবি)।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার শনিবার জানান, রোববার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে। এই তহবিলের নাম হবে মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (এমএসএফ)। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই তহবিল পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অব্যাহত দরপতনের মুখে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনোয়োগ বাড়ানোর ঘোষণার দুই দিনের মাথায় বিএবরি এই ঘোষণা এলো।
তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সেই ঘোষণার সঙ্গে এই তহবিলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান মজুমদার।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে। আর আমরা বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়াতে আলাদা এই তহবিল গঠন করছি।
তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, অতীতে দেশ ও জাতির যে কোনো দুর্যোগে বিএবি সবার আগে জনগণ ও সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে সংকট চলছে, তাতে বিএবির করণীয় নির্ধারণে রোববার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
সকাল ১১টায় গুলশানে জব্বার টাওয়ারে বিএবির কার্যালয়ে হবে এ বৈঠক।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আরো জানান, বাজার পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা এই তহবিল (এমএএফ) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনে তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে।

News Source


Friday, October 21, 2011

বিনিয়োগের অনুকূলে শেয়ারবাজার - বিশেষজ্ঞ ও বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিমত

দরপতনের কোন যুক্তি নেই ॥ মির্জ্জা আজিজ
বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, শেয়ারবাজারে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে নতুন বিনিয়োগ না আসার কোন কারণ নেই। কারণ বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দর কোম্পানির মৌলভিত্তির চেয়ে নিচে নেমে গেছে। 



কালো টাকা বিনিয়োগে বাধা নেই ॥ এনবিআর চেয়ারম্যান
কালো টাকা বিনিয়োগের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, টাকার উৎস সম্পর্কে কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যনত্ম কেউ এ সুযোগ গ্রহণ করেনি। তবে অর্থবছরের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে। শীঘ্রই অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন বলে আশা করা যায়। 


শেয়ারবাজার বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ ॥ ড. আহসান মনসুর
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, ২০১০ সালে দেশের শেয়ারবাজারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা কোনভাবেই স্বাভাবিক ছিল না। তবে কিছু দিন ধরে টানা দরপতনের কারণে বর্তমানে বাজারে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে। বর্তমান বাজারে শেয়ারের দর মৌলভিত্তির চেয়ে বেশিও নয়, আবার কমও নয়। অর্থাৎ, বাজার এখন স্বাভাবিক অবস্থানে রয়েছে। 


News Source


হৈ চৈ করলে পুঁজিবাজার বাড়বে না – আ হ ম মোস্তফা কামাল

 বিদ্যমান ভ্যাট আইনকে আরো সহজ এবং সুবিধাভোগীবাল্পব্দব করার লক্ষ্যে এটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভ্যাট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে যে ভীতি রয়েছে তা দহৃর করে বাস্টøব সম্মত এবং যুগপোযোগী করে তুলতে এ আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। বিশ^ব্যাংক, আইএমএফ এ আইন সংশোধনে সরকারকে বিভিল্পু পরামর্শ দিবে। আইন সংশোধনের লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ^ব্যাংক এবং আইএমএফের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। এ সময় কমিটির সদস্য মাইদুল ইসলাম এমপি, এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. বেন তেরা আইনের যেসব বিষয়ে সংশোধনী আনতে হবে সে বিষয়ে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বৈঠক শেষে আ হ ম মোস্টøফা কামাল বলেন, ১৯৯১ সালে ভ্যাট আইন চালু হয়েছিল। এ আইনের  ত্রুটি বিচ্যুতি এবং আইনটিকে আরো সহজ এবং যুগোপযোগী করার জন্য বিভিল্পু ¯েল্টহোল্ডারদের কাছ থেকে দাবী উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজার নিয়ে এক প্রশেুর জবাবে তিনি বলেন, যারা হৈ চৈ করছে, তাদের কারণে শেয়ারবাজারে বাড়বে না। শেয়ারবাজারে আস্টøা সংকটকেই প্রধান সমস্যা বলে মল্পøব্য করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে আস্থা সংকট কেটে যাবে।
এদিকে ভ্যাট আইন সংশোধনের বিষয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার)  আইন সংশোধন বিষয়ে  প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অর্থমল্পúীসহ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্টি’ত থাকার কথা থাকলেও অন্য একটি কর্মসহৃচীর জন্য তারা উপস্থিত হতে পারেন নি। এ জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে আবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বিশ^ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও থাকবেন। তিনি আরও বলেন, আজকে যে ধরানাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে তার বেশ কিছু বিষয়ে আমরা নিজেদের মতামত দিয়েছি। এসব মতামতের আলোকে ওইদিন এ নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে। এরপর এফবিসিআইসহ সকল ¯েল্টক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে আইনটি সংশোধন করা হবে,যাতে আগামী ২ থেকে ৫ বছরে নতুন করে কোন সংশোধনী আনতে না হয়।
সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস ভ্যাট আয়কে উল্কেèখ করে বলেন, ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো যখন ব্যাট চালু করা হয় ,তখন সরকারের এ খাত থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কিল্পøু গত অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় অংশই আসছে ভ্যাট থেকে। মোস্তফা কামাল বলেন, আগামী দিনগুলোতে সরকারের আমদানী শুল্ক‹ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। ফলে সরকারকে আয়কর এবং ভ্যাটের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। ভ্যাট প্রথা চালুকে দেশের জন্য একটি সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত  বলে মন্তব্য করেন মোস্তফা কামাল। এখানে প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থমল্পúী সাইফুর রহমান বিরোধীদলসমহৃহের প্রবল বিরোধিতার মুখে ভ্যাট প্রথা চালু করেছিলেন।
পুঁজিবাজার নিয়ে সাংবাদিকদিরে এক প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা কামাল বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছে। শেয়ারবাজারে দরপতন হলে ব্যক্তি খাতের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। শেয়ারবাজারে যখন দর কমতে শুরু করে এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হন। হৈ চৈ করে শেয়ারবাজার বাড়ানো যাবে না। হৈ চৈয়ের কারণে বাজারে আতংক তৈরী হয়, এতে অনেকে আতংকগ্রস্ট’ হয়ে শেয়ার বিকিদ্ধ করে দেন। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হন। কিল্পøু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে সকিদ্ধয় নয়, এ বিষয়ে তার মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আরও কম দামে শেয়ার কিনতে চাইছে।
মোস্টøফা কামাল আরও বলেন, অর্থনীতির এমন কোন অবস্ট’া হয়নি যার জন্য শেয়ারবাজার খারাপ হতে পারে। আমাদের আয় বাড়ছে। আয় না বাড়লে আয়কর ২৮ শতাংশ বাড়তো না। দেশের রফতানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবজারের স্টি’তিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে চেদ্বা করছে। দেশের সামদ্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করার চেদ্বা চলছে। এতে সময় লাগবে। শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এনবিআর ও সরকারের কাছ থেকে যে পরিমান প্রচারণার প্রয়োজন ছিল তা হয়নি।
এনবিআর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, দেশের মাত্র ৭ টি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস রয়েছে। আগামীতে ৮৫ টি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস স্ট’াপনের প্রকিদ্ধয়া চলছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে থানা নির্বাহী কর্মকর্তার (টিএনও) মাধ্যমে রাজস্ট^ আদায়ের চিল্পøাভাবনা চলছে। এছাড়া আউট সোসিংএর মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয় পড়ূয়া ছাত্রদের মাধ্যমে আয়কর আদায়ের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশেুর উত্তরে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগে এনবিআরের পক্ষ থেকে উৎস স¤ক্সর্কে কোন প্রশু করা হবে না।

সর্বোচ্চ ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা : এবিবির ঘোষণায় বাজার চাঙ্গা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনিসীমার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। সম্ভাব্য এই অংক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগহীন মূলধনের সাড়ে ৬ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব ব্যাংককে আইনিসীমার মধ্যে থেকে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।
এ সময় এবিবি জানায়, ধারাবাহিক মন্দাভাব বিবেচনায় এনে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির এমন খবরে গতকাল চাঙ্গা হয়ে ওঠে পুঁজিবাজার। বাজার স্থিতিশীলকরণে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে ফেরা ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬-এর (খ) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ হিসাবে ব্যাংকগুলো আইনিসীমার মধ্যেই আরও সাড়ে ৬ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। সে অনুযায়ী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৩টি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে। এসব ব্যাংকের বর্তমানে মোট আমানতের (দায়) পরিমাণ ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ব্যাংকগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগ আছে ১৬ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান (সাবসিডিয়ারি) হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ২০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সামগ্রিকভাবে আমানতের মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী পুঁজিবাজারে সোনালী ব্যাংকের মোট দায়ের ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। জনতা ব্যাংকের রয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। একইভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ দশমিক ১৯, আইএফআইসির ৮ দশমিক ২৭, রূপালী ব্যাংকের ৪ দশমিক ৪৪, ব্যাংক এশিয়ার ৫ দশমিক ২৬, এনসিসিবিএলের ৫ দশমিক ১০, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৩ দশমিক ৫১, অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৯৮, বেসিক ব্যাংকের শূন্য দশমিক ৫৫, দি সিটি ব্যাংকের ১১ দশমিক ৩০, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১ দশমিক ২৮, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯৯, ঢাকা ব্যাংকের ২ দশমিক ৯৭, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪ দশমিক ০৬, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২ দশমিক ০৩, এসআইবিএলের ১ দশমিক ৩২, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১ দশমিক ০৫, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৬ দশমিক ৩৫, উত্তরা ব্যাংকের ২ দশমিক ৩০, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শূন্য দশমিক ২৬, প্রাইম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩০, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪১, এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪০, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬২, পূবালী ব্যাংকের ৩ দশমিক ২৬,  ইউসিবিএলের ২ দশমিক ৬৭, যমুনা ব্যাংকের ৩ দশমিক ৬৭, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২ দশমিক ৬৪, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২ দশমিক ৭৬, ওয়ান ব্যাংকের ৮ দশমিক ৫৪, এক্সিম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৩ এবং ব্যাংক আল ফালাহের ২ দশমিক ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে শেয়ারবাজারে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে আইনিসীমার মধ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তার দৈনকি স্টক বাংলাদেশকে বলেন, পুঁজিবাজারের ক্রমাগত মন্দায় আমরা জরুরি বৈঠক করেছি। বৈঠকে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি, ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এলে বাজার চাঙ্গা হবে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই বিনিয়োগ শুরু করবে। বাজারের ক্রমাগত মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এবিবির এমন ঘোষণায় পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিক্ষোভের পক্ষে নই। আমরা চাই, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হোক। এবিবির ঘোষণায় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 
বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো শেয়ারে বিনিয়োগ করবেÑ এটাই নিয়ম। তবে ব্যাংকের মোট আয়ের ১০ শতাংশ থেকে বিনিয়োগ কমিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ নামিয়ে আনা বাজারের জন্য ক্ষতিকর। হঠাৎ করে ব্যাংকের বিনিয়োগ এতটা হ্রাস করা বাজারের জন্য ভালো হয়নি। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। 

Wednesday, October 19, 2011

জিবিবি পাওয়ারের আইপিও অনুমোদন - IPO of GBB Power Limited

ঢাকা, অক্টোবর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের আইপিও প্রোসপ্রেক্টাস অনুমোদন করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২ কোটি ৫ লাখ শেয়ার ছেড়ে জিবিবি পাওয়ার পুঁজিবাজার থেকে ৮২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। এর সঙ্গে ৩০ টাকা প্রিমিয়াম যোগ করে ইস্যুমূল্য হবে ৪০ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি তাদের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা। ইস্যু ম্যানেজার হিসাবে রয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

প্রোসপেক্টাসে বলা হয়েছে, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আইপিও পূর্ব পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড নিবন্ধিত হয়। ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে তালিকাভুক্তির পর ১৭জুন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।

২০০৭ সালের ১৭ জুন বগুড়ায় একটি ২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে প্রতিষ্ঠানটি। 

Tuesday, October 18, 2011

* বিনিয়োগ করমুক্ত * আয়কর রেয়াত * উৎসে কর ৫ পয়সা * অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপদেষ্টা কমিটি

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকে করমুক্ত ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর উৎসে কর ১০০ টাকায় ১০ পয়সা থেকে কমিয়ে পাঁচ পয়সা করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সিকিউরিটিজ বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ওপর আয়কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে সরকার। গতকাল সোমবার পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরণ অনশনসহ নানা কর্মসূচি চলার প্রেক্ষাপটে গত রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। এর পরদিনই এসব ঘোষণা আসে।
এদিকে সরকারি পদক্ষেপ শুধু আশ্বাসের মধ্যে না রেখে বাস্তবে রূপ দেওয়ার দাবিতে রবিবার থেকে অনশন ও বিক্ষোভ করছে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। গতকালের ঘোষণার পরও তারা অনশন ভাঙেনি। পুলিশের বাধার মুখে কয়েক দফা স্থান পরিবর্তন করে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। আগের দিনের ১৮১ পয়েন্ট পতনের পর গতকাল সোমবার ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৩৬.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৪২৩.৯১ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।
গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বাজার পরিস্থিতি ও সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান এসইসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসইসির পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী করতে তাঁরা একমত পোষণ করেন। কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তার সবই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ব্যয় হ্রাস এবং প্রণোদনা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর রেয়াত প্রদানের বিষয়ে ইতিমধ্যেই এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সেসব বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানান ড. খায়রুল হোসেন।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্রোকারেজ কমিশনের ওপর কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.১০ শতাংশ করা হয়েছিল। বর্ধিত এই কর হ্রাস করে পুনরায় ০.০৫ শতাংশ করা হয়েছে। কর কমানোর পরও কোনো ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীদের ওপর আরোপিত কমিশন না কমালে এসইসির পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও আয়ের ওপর সব কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে যেভাবে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, এখনো তা পুরোপুরি বহাল রয়েছে। এই নিয়ে নতুন করে কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই। শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ করলে তার উৎস নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
এসইসি চেয়ারম্যান বলেন, রবিবার রাতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে এসইসি এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাজারে তার কী ধরনের ফল হয়েছে, সে বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। অবশ্যই এর ফল পাওয়া যাবে।
গত বুধবার এসইসির সঙ্গে এনবিআরের বৈঠক থেকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এনবিআরের পক্ষ থেকে দেওয়া সেই আশ্বাসের বিষয়টি সেদিন সংবাদ সম্মেলন করে জানায় এসইসি। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা ওই আশ্বাসে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনি। তাই তারা বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তাদের বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। রবিবার আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। এই কর্মসূচির প্রতি একাত্ম প্রকাশ করেন বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এরপর রবিবার রাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উপদেষ্টা কমিটি গঠন : শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে সরকার। ছয় সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া পুঁজিবাজার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে অভিজ্ঞ ও আইনজ্ঞদেরও রাখা হয়েছে কমিটিতে। অস্থিতিশীল পুঁজিবাজারকে আরো দক্ষ, স্বচ্ছ, স্থিতিশীল করাসহ বিভিন্ন সময় এ কমিটি উপদেশ দেবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আহ্বায়ক করে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সিদ্দিকী ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট আনিসুল হক রয়েছেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাও থাকছেন এ কমিটিতে। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রবিধি, নীতি ও মূলধন মার্কেট) উপদেষ্টা কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে কাজ করবেন। এত দিন এ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন অমলেন্দু মুখার্জি। তবে সম্প্রতি তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই পদে নতুন করে যিনি দায়িত্ব নেবেন, তিনিই উপদেষ্টা কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে 'উলি্লখিত উপদেষ্টা পরিষদ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন, বিধি-বিধানসহ প্রাসঙ্গিক সব বিষয়ে উপদেশ দেবে। এই উপদেষ্টা পরিষদ প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য যথাসময়ে কো-অপ্ট করতে পারবে।'
সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে মনোনয়নের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ইস্যু করা প্রতি চারটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটিতে ৯০০ টাকা হারে এবং রূপালী ব্যাংকের দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটিতে ৩০০ টাকা হারে প্রিমিয়াম দেওয়ার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। উভয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ছিল ১০০ টাকা করে। গতকাল অর্থ বিভাগের অনুমোদনের জন্য এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অর্থ বিভাগের অনুমোদনের পর খুব শিগগির এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের প্রিমিয়াম দেওয়া হবে।
গতকাল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সিকিউরিটি ইস্যুর ক্ষমতা কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা হলো। কমিশনই এখন থেকে এ দায়িত্ব পালন করবে। দেশে মোট মার্চেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা ৫০।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন : শেয়ারবাজার চাঙ্গা করার জন্য এ খাতের বিনিয়োগকে করমুক্ত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) জানিয়ে দিয়েছে এনবিআর।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বন্ড বা সিকিউরিটিজের লেনদেন মূল্যের ওপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার কমিয়ে ০.০৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলাদা আরেকটি প্রজ্ঞাপনে স্টক এঙ্চেঞ্জে তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সিকিউরিটিজ বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ওপর আয়কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ৪৪ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর ধরা হবে।
এ ছাড়া অন্য এক প্রজ্ঞাপনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইস্যুকারী ব্যক্তির ওই ফান্ড থেকে অর্জিত আয়কে কর অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর।
রাজস্ব বোর্ডেও আয়কর অনুবিভাগ থেকে জারি করা তিনটি প্রজ্ঞাপনেই স্বাক্ষর করেছেন অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মো. আমিনুল করিম।