দেশের ব্যাংক খাতে ঋণ-আমানতের অনুপাত (সিডিআর রেশিও) সীমার মধ্যেই রয়েছে। তবে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৩টি ব্যাংকের এই অনুপাত সীমার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের শিথিল নীতিতে হিসাব করে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে বর্তমানে সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের শেষভাগে এসে রাজনৈতিক চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তারা ঋণ-আমানত অনুপাত হিসাবে শিথিল নীতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার পর থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর আমানতের হিসাব করতে গিয়ে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও আন্তব্যাংক আমানত (কলমানি নয়) বিবেচনায় নিচ্ছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর সিডিআর অনুপাত আগের চেয়ে ২ শতাংশের মতো কমে আসে। তাতে নতুন করে ঋণ-বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর সক্ষমতাও বেশ খানিকটা বাড়ে।
যদিও দেশে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংকোচিত মুদ্রানীতিতে থাকার পরামর্শ, বিশেষত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) দেশের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সে পথে অগ্রসর হতে পারছে না। প্রতিবেশী ভারতের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে কিছু কম হওয়া সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বড় ধরনের সংকোচনের মধ্যে রয়েছে। ভারতে সিডিআর অনুপাত ৭৫ শতাংশ। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিথিল নীতির মতো সিডিআর অনুপাতের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক নমনীয় পথ অনুসরণ করছে। সিডিআর অনুপাত হিসাবে ভারত থেকে বাংলাদেশ ১০ ভাগ বেশি রয়েছে, যা ৮৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুত গত ৮ সেপ্টেম্বরের হিসাবে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিডিবিএলের আমানতের তুলনায় ঋণ বিতরণ হয়েছে সর্বাধিক। এই বিশেষায়িত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি তাদের আমানতের চেয়ে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটির সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১৬৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ব্যাংকটির আমানত ৪০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিপরীতে ঋণ দিয়েছে ৬৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিলুপ্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন করে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক করা হয়েছিল। এই ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১১৮ দশমিক ০১ শতাংশ। ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ এক হাজার ২৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর ঋণ দেওয়া আছে এক হাজার ৩৭০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১০৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। ১০৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঋণ-আমানত অনুপাত রয়েছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের। ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১০১ দশমিক ৩০ শতাংশ। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৯৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৯১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঋণ-আমানত হয়েছে ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। আমানতের ৮৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রখাতের বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিক ব্যাংক। অগ্রণী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত রয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের শেষভাগে এসে রাজনৈতিক চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তারা ঋণ-আমানত অনুপাত হিসাবে শিথিল নীতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার পর থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর আমানতের হিসাব করতে গিয়ে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও আন্তব্যাংক আমানত (কলমানি নয়) বিবেচনায় নিচ্ছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর সিডিআর অনুপাত আগের চেয়ে ২ শতাংশের মতো কমে আসে। তাতে নতুন করে ঋণ-বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর সক্ষমতাও বেশ খানিকটা বাড়ে।
যদিও দেশে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংকোচিত মুদ্রানীতিতে থাকার পরামর্শ, বিশেষত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) দেশের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সে পথে অগ্রসর হতে পারছে না। প্রতিবেশী ভারতের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে কিছু কম হওয়া সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বড় ধরনের সংকোচনের মধ্যে রয়েছে। ভারতে সিডিআর অনুপাত ৭৫ শতাংশ। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিথিল নীতির মতো সিডিআর অনুপাতের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক নমনীয় পথ অনুসরণ করছে। সিডিআর অনুপাত হিসাবে ভারত থেকে বাংলাদেশ ১০ ভাগ বেশি রয়েছে, যা ৮৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুত গত ৮ সেপ্টেম্বরের হিসাবে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিডিবিএলের আমানতের তুলনায় ঋণ বিতরণ হয়েছে সর্বাধিক। এই বিশেষায়িত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি তাদের আমানতের চেয়ে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটির সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১৬৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ব্যাংকটির আমানত ৪০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিপরীতে ঋণ দিয়েছে ৬৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিলুপ্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন করে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক করা হয়েছিল। এই ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১১৮ দশমিক ০১ শতাংশ। ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ এক হাজার ২৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর ঋণ দেওয়া আছে এক হাজার ৩৭০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১০৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। ১০৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঋণ-আমানত অনুপাত রয়েছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের। ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১০১ দশমিক ৩০ শতাংশ। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৯৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৯১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঋণ-আমানত হয়েছে ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। আমানতের ৮৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রখাতের বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিক ব্যাংক। অগ্রণী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত রয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
No comments:
Post a Comment