ব্যয় মেটানোর টাকা নেই সরকারের হাতে। ব্যাংক থেকে ধার করে চলছে সরকার। এতে আরও মূল্যম্ফীতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ পেতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বড় অঙ্কের ধার নিয়েই বছরটি শুরু হয়েছে সরকারের। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে নতুন অর্থবছরের মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে সরকারের নিট ঋণ হয়েছে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।
এর আগে গত বছর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ সব পরিকল্পনাকে ছাপিয়ে যায়। সমাপ্ত ২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ করে প্রায় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ওই অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ও সংশোধিত বাজেট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।
গেল বছর সরকারের এ ঋণের প্রায় অর্ধেকটা নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। আর নতুন অর্থবছরের আড়াই মাসেও সরকারের ঋণের বড় অংশ জুগিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে নিট ঋণ করেছে সাত হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার নিয়েছে চার হাজার ১০২ কোটি টাকা এবং তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি করে তুলে দিয়েছে তিন হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের ঋণ ছিল মাত্র ৩৬১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
তফসিলি ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ করলে বেসরকারি খাতের ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে আসে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ করলে, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী সময়ে তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড বিক্রি করে তা তুলে নিতে না পারে, তবে শেষ পর্যন্ত নতুন টাকা বাজারে বেড়ে যায়। আর এতে বাড়ে দ্রব্যমূল্য। গত অর্থবছরে শেষ পর্যন্ত নতুন টাকা বাজারে ঢুকেছে। এবারও সে আশঙ্কাই রয়েছে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বিদেশি অর্থায়ন না পেলে সরকারের ব্যয় সাশ্রয় ছাড়া ব্যাংকঋণ কমানো যাবে না। বিদেশি অর্থায়ন এলে তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে টাকা ছেপে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে টাকা ছাপার মতো সম্পদ জমা থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। অন্যথায় যে নতুন টাকা ছাপা হবে সরকারের চাহিদা মেটাতে, তা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অর্থ। এতে দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে।
যোগাযোগ করা হলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, দুটি কারণে সরকারের ঋণ বাড়ছে। বৈদেশিক সাহায্য না আসা এবং নানা খাতে বিশেষত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বড় ভর্তুকি দেওয়া। যেভাবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাতে বেসরকারি খাতের কিছু লোককে আরও বড়লোক বানানো হবে।
আহসান মনসুর বলেন, গত বছর ব্যাংকিং খাত থেকে যে ঋণ ছিল, তা করা হয়েছিল জুন মাসে। এবার বছরের শুরুতেই বড় অঙ্কের ঋণ করা হচ্ছে। আর এ ঋণ যদি গত বছরের মতো শেষ পর্যন্ত টাকা ছেপেই মেটাতে হয়, তবে দ্রব্যমূল্য উচ্চহারে বাড়বে। সেটি বোধ হয় অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বর্তমান মূল্যস্ফীতি অভ্যন্তরীণ নীতিমালার কারণেই মূলত ঘটছে, বাইরের থেকে নয়।’
বড় অঙ্কের ধার নিয়েই বছরটি শুরু হয়েছে সরকারের। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে নতুন অর্থবছরের মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে সরকারের নিট ঋণ হয়েছে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।
এর আগে গত বছর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ সব পরিকল্পনাকে ছাপিয়ে যায়। সমাপ্ত ২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ করে প্রায় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ওই অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ও সংশোধিত বাজেট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।
গেল বছর সরকারের এ ঋণের প্রায় অর্ধেকটা নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। আর নতুন অর্থবছরের আড়াই মাসেও সরকারের ঋণের বড় অংশ জুগিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে নিট ঋণ করেছে সাত হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার নিয়েছে চার হাজার ১০২ কোটি টাকা এবং তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি করে তুলে দিয়েছে তিন হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের ঋণ ছিল মাত্র ৩৬১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
তফসিলি ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ করলে বেসরকারি খাতের ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে আসে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ করলে, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী সময়ে তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড বিক্রি করে তা তুলে নিতে না পারে, তবে শেষ পর্যন্ত নতুন টাকা বাজারে বেড়ে যায়। আর এতে বাড়ে দ্রব্যমূল্য। গত অর্থবছরে শেষ পর্যন্ত নতুন টাকা বাজারে ঢুকেছে। এবারও সে আশঙ্কাই রয়েছে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বিদেশি অর্থায়ন না পেলে সরকারের ব্যয় সাশ্রয় ছাড়া ব্যাংকঋণ কমানো যাবে না। বিদেশি অর্থায়ন এলে তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে টাকা ছেপে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে টাকা ছাপার মতো সম্পদ জমা থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। অন্যথায় যে নতুন টাকা ছাপা হবে সরকারের চাহিদা মেটাতে, তা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অর্থ। এতে দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে।
যোগাযোগ করা হলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, দুটি কারণে সরকারের ঋণ বাড়ছে। বৈদেশিক সাহায্য না আসা এবং নানা খাতে বিশেষত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বড় ভর্তুকি দেওয়া। যেভাবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাতে বেসরকারি খাতের কিছু লোককে আরও বড়লোক বানানো হবে।
আহসান মনসুর বলেন, গত বছর ব্যাংকিং খাত থেকে যে ঋণ ছিল, তা করা হয়েছিল জুন মাসে। এবার বছরের শুরুতেই বড় অঙ্কের ঋণ করা হচ্ছে। আর এ ঋণ যদি গত বছরের মতো শেষ পর্যন্ত টাকা ছেপেই মেটাতে হয়, তবে দ্রব্যমূল্য উচ্চহারে বাড়বে। সেটি বোধ হয় অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বর্তমান মূল্যস্ফীতি অভ্যন্তরীণ নীতিমালার কারণেই মূলত ঘটছে, বাইরের থেকে নয়।’
News Source
No comments:
Post a Comment