ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। নানা আলোচনার জন্ম দেয়া ব্যাংকটিতে দিন দিন আমানতের পরিমাণ বাড়ছে, মিলছে লাভের দেখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে যথাসময়ে আগের গ্রাহকদের অর্থও পরিশোধ করছে তারা। গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন নতুন পরিকল্পনা।
কিছুদিন আগেও ব্যাংকটি বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল ব্যাংকটির মালিকপক্ষ আইসিবি গ্রুপ। কিন্তু ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় বিক্রির পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এসেছে তারা। সম্প্রতি প্রকাশিত আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ হোল্ডিংয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে আইসিবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাইকেল আর হ্যানলন উল্লেখ করেন, ২০১০ সালের প্রথম ছয় মাস অর্থাত্ জুন পর্যন্ত গ্রুপের বাংলাদেশ শাখায় (আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক) মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আইসিবি।
আইসিবি মূলত ২০১০ সালের জুন থেকে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। ২০১০ সালের জুন শেষে ৯৯ লাখ টাকা মুনাফা করে ব্যাংকটি। আর এ বছরের সেপ্টেম্বর শেষে তাদের পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ব্যাংকটি ‘ওরিয়েন্টাল ব্যাংক রিকনস্ট্রাকশন স্কিম-২০০৭’-এর আওতায় এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের ৪৫৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলবে এ স্কিমের টাকা বিতরণ।
আইসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর ওই বছর ব্যাংকটি খেলাপি ঋণের ১১৫ কোটি টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা আরও ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯২ থেকে কমে ৫৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে এ ব্যাংকের মুনাফাযোগ্য বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আইসিবি এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আইসিবির মাধ্যমে আনার জন্য বিদেশী বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সহযোগিতায় আইসিবি সারা দেশে ২০১২ সালের মধ্যে ১০০টি এটিএম বুথ স্থাপন করবে।
জানা গেছে, আইসিবি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা শাখা খুলবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ব্যাংকটি। এতে গ্রাহক আস্থা আরও বাড়বে বলে মনে করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক মামুন মাহমুদ শাহ। তিনি গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে আমরা যথাসময়ে পুরনো গ্রাহকদের অর্থও ফেরত দিচ্ছি। পাশাপাশি নেয়া হয়েছে গ্রাহকমুখী নানা সেবা। তিনি জানান, এসব সেবার সুফল এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে গ্রাহক এবং ব্যাংক উভয়পক্ষই।’
News Source
কিছুদিন আগেও ব্যাংকটি বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল ব্যাংকটির মালিকপক্ষ আইসিবি গ্রুপ। কিন্তু ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় বিক্রির পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এসেছে তারা। সম্প্রতি প্রকাশিত আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ হোল্ডিংয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে আইসিবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাইকেল আর হ্যানলন উল্লেখ করেন, ২০১০ সালের প্রথম ছয় মাস অর্থাত্ জুন পর্যন্ত গ্রুপের বাংলাদেশ শাখায় (আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক) মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আইসিবি।
আইসিবি মূলত ২০১০ সালের জুন থেকে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। ২০১০ সালের জুন শেষে ৯৯ লাখ টাকা মুনাফা করে ব্যাংকটি। আর এ বছরের সেপ্টেম্বর শেষে তাদের পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ব্যাংকটি ‘ওরিয়েন্টাল ব্যাংক রিকনস্ট্রাকশন স্কিম-২০০৭’-এর আওতায় এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের ৪৫৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলবে এ স্কিমের টাকা বিতরণ।
আইসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর ওই বছর ব্যাংকটি খেলাপি ঋণের ১১৫ কোটি টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা আরও ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯২ থেকে কমে ৫৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে এ ব্যাংকের মুনাফাযোগ্য বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আইসিবি এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আইসিবির মাধ্যমে আনার জন্য বিদেশী বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সহযোগিতায় আইসিবি সারা দেশে ২০১২ সালের মধ্যে ১০০টি এটিএম বুথ স্থাপন করবে।
জানা গেছে, আইসিবি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা শাখা খুলবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ব্যাংকটি। এতে গ্রাহক আস্থা আরও বাড়বে বলে মনে করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক মামুন মাহমুদ শাহ। তিনি গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে আমরা যথাসময়ে পুরনো গ্রাহকদের অর্থও ফেরত দিচ্ছি। পাশাপাশি নেয়া হয়েছে গ্রাহকমুখী নানা সেবা। তিনি জানান, এসব সেবার সুফল এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে গ্রাহক এবং ব্যাংক উভয়পক্ষই।’
News Source
No comments:
Post a Comment