পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনিসীমার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। সম্ভাব্য এই অংক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগহীন মূলধনের সাড়ে ৬ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব ব্যাংককে আইনিসীমার মধ্যে থেকে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।
এ সময় এবিবি জানায়, ধারাবাহিক মন্দাভাব বিবেচনায় এনে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির এমন খবরে গতকাল চাঙ্গা হয়ে ওঠে পুঁজিবাজার। বাজার স্থিতিশীলকরণে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে ফেরা ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬-এর (খ) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ হিসাবে ব্যাংকগুলো আইনিসীমার মধ্যেই আরও সাড়ে ৬ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। সে অনুযায়ী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৩টি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে। এসব ব্যাংকের বর্তমানে মোট আমানতের (দায়) পরিমাণ ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ব্যাংকগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগ আছে ১৬ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান (সাবসিডিয়ারি) হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ২০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সামগ্রিকভাবে আমানতের মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী পুঁজিবাজারে সোনালী ব্যাংকের মোট দায়ের ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। জনতা ব্যাংকের রয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। একইভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ দশমিক ১৯, আইএফআইসির ৮ দশমিক ২৭, রূপালী ব্যাংকের ৪ দশমিক ৪৪, ব্যাংক এশিয়ার ৫ দশমিক ২৬, এনসিসিবিএলের ৫ দশমিক ১০, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৩ দশমিক ৫১, অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৯৮, বেসিক ব্যাংকের শূন্য দশমিক ৫৫, দি সিটি ব্যাংকের ১১ দশমিক ৩০, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১ দশমিক ২৮, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯৯, ঢাকা ব্যাংকের ২ দশমিক ৯৭, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪ দশমিক ০৬, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২ দশমিক ০৩, এসআইবিএলের ১ দশমিক ৩২, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১ দশমিক ০৫, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৬ দশমিক ৩৫, উত্তরা ব্যাংকের ২ দশমিক ৩০, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শূন্য দশমিক ২৬, প্রাইম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩০, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪১, এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪০, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬২, পূবালী ব্যাংকের ৩ দশমিক ২৬, ইউসিবিএলের ২ দশমিক ৬৭, যমুনা ব্যাংকের ৩ দশমিক ৬৭, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২ দশমিক ৬৪, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২ দশমিক ৭৬, ওয়ান ব্যাংকের ৮ দশমিক ৫৪, এক্সিম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৩ এবং ব্যাংক আল ফালাহের ২ দশমিক ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে শেয়ারবাজারে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে আইনিসীমার মধ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তার দৈনকি স্টক বাংলাদেশকে বলেন, পুঁজিবাজারের ক্রমাগত মন্দায় আমরা জরুরি বৈঠক করেছি। বৈঠকে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি, ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এলে বাজার চাঙ্গা হবে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই বিনিয়োগ শুরু করবে। বাজারের ক্রমাগত মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এবিবির এমন ঘোষণায় পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিক্ষোভের পক্ষে নই। আমরা চাই, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হোক। এবিবির ঘোষণায় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো শেয়ারে বিনিয়োগ করবেÑ এটাই নিয়ম। তবে ব্যাংকের মোট আয়ের ১০ শতাংশ থেকে বিনিয়োগ কমিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ নামিয়ে আনা বাজারের জন্য ক্ষতিকর। হঠাৎ করে ব্যাংকের বিনিয়োগ এতটা হ্রাস করা বাজারের জন্য ভালো হয়নি। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
এ সময় এবিবি জানায়, ধারাবাহিক মন্দাভাব বিবেচনায় এনে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির এমন খবরে গতকাল চাঙ্গা হয়ে ওঠে পুঁজিবাজার। বাজার স্থিতিশীলকরণে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে ফেরা ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬-এর (খ) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ হিসাবে ব্যাংকগুলো আইনিসীমার মধ্যেই আরও সাড়ে ৬ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। সে অনুযায়ী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৩টি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে। এসব ব্যাংকের বর্তমানে মোট আমানতের (দায়) পরিমাণ ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ব্যাংকগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগ আছে ১৬ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান (সাবসিডিয়ারি) হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ২০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সামগ্রিকভাবে আমানতের মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী পুঁজিবাজারে সোনালী ব্যাংকের মোট দায়ের ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। জনতা ব্যাংকের রয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। একইভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ দশমিক ১৯, আইএফআইসির ৮ দশমিক ২৭, রূপালী ব্যাংকের ৪ দশমিক ৪৪, ব্যাংক এশিয়ার ৫ দশমিক ২৬, এনসিসিবিএলের ৫ দশমিক ১০, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৩ দশমিক ৫১, অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৯৮, বেসিক ব্যাংকের শূন্য দশমিক ৫৫, দি সিটি ব্যাংকের ১১ দশমিক ৩০, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১ দশমিক ২৮, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯৯, ঢাকা ব্যাংকের ২ দশমিক ৯৭, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪ দশমিক ০৬, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২ দশমিক ০৩, এসআইবিএলের ১ দশমিক ৩২, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১ দশমিক ০৫, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৬ দশমিক ৩৫, উত্তরা ব্যাংকের ২ দশমিক ৩০, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শূন্য দশমিক ২৬, প্রাইম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩০, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪১, এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪০, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬২, পূবালী ব্যাংকের ৩ দশমিক ২৬, ইউসিবিএলের ২ দশমিক ৬৭, যমুনা ব্যাংকের ৩ দশমিক ৬৭, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২ দশমিক ৬৪, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২ দশমিক ৭৬, ওয়ান ব্যাংকের ৮ দশমিক ৫৪, এক্সিম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৩ এবং ব্যাংক আল ফালাহের ২ দশমিক ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে শেয়ারবাজারে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে আইনিসীমার মধ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তার দৈনকি স্টক বাংলাদেশকে বলেন, পুঁজিবাজারের ক্রমাগত মন্দায় আমরা জরুরি বৈঠক করেছি। বৈঠকে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি, ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এলে বাজার চাঙ্গা হবে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই বিনিয়োগ শুরু করবে। বাজারের ক্রমাগত মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এবিবির এমন ঘোষণায় পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিক্ষোভের পক্ষে নই। আমরা চাই, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হোক। এবিবির ঘোষণায় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো শেয়ারে বিনিয়োগ করবেÑ এটাই নিয়ম। তবে ব্যাংকের মোট আয়ের ১০ শতাংশ থেকে বিনিয়োগ কমিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ নামিয়ে আনা বাজারের জন্য ক্ষতিকর। হঠাৎ করে ব্যাংকের বিনিয়োগ এতটা হ্রাস করা বাজারের জন্য ভালো হয়নি। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
No comments:
Post a Comment