রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের একমাত্র গ্লাস শিট কারখানা উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি অনিয়ম-অদক্ষতায় লোকসানের মুখে পড়েছে। উত্পাদন শুরুর পর থেকে অব্যাহতভাবে মুনাফা করে এলেও গত অর্থবছর থেকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানের খাতায় নাম লেখাতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা করলেও গত অর্থবছর ৫০ লাখ টাকারও বেশি লোকসান দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও নানা অনিয়মের কারণে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে ছিঁটকে পড়ছে সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি। কারখানা পরিচালনায় যোগ্য ব্যক্তির সংকট এর প্রধান কারণ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ওই ফ্যাক্টরির-ই চিকিত্সক ডা. তৌহিদুর রহমান। বিক্রয় বিভাগের প্রধান হিসেবে আছেন ফ্যাক্টরি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবদুল বারী এবং হিসাব বিভাগের প্রধানের পদে আছেন অ্যাকাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা এস্কান্দার মির্জা। একইভাবে অন্যান্য পদেও চলছে দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তির সংকট।
ফ্যাক্টরি সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪ মাস আগে ফ্যাক্টরির চিকিত্সাকেন্দ্রের চিকিত্সককে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বিসিআইসিতেই (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) তোলপাড় চলে। এ নিয়ে বিসিআইসি ও ফ্যাক্টরির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। কিন্তু তারপরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. তৌহিদুর রহমান।
অদক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে অনিয়মও থেমে নেই। কাঁচামাল কেনা থেকে শুরু করে সংস্কার, নির্মাণকাজ সবকিছুতেই ভর করেছে অনিয়ম। নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের কারণে উত্পাদিত পণ্যের গুণগত মানও আগের মতো নেই। প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না বেসরকারি দুটি গ্লাস ফ্যাক্টরির সঙ্গে। ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে এক লাফে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মুনাফা কমে যায়। তবে মুনাফা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে ওই অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভিন্নভাবে ব্যাখা করা হয়।
পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি গ্লাস শিট উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাসির গ্লাস ও পিএইচপি তাদের উত্পাদিত পণ্য রফতানি করতে না পারায় অভ্যন্তরীণ বাজারে কম দামে বিক্রি করে। তাই বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার শিটের দাম পুনর্নির্ধারণ করায় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় মুনাফা কম হয়েছে।
এদিকে ডা. তৌহিদুর রহমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির চিকিত্সা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। গ্লাস ফ্যাক্টরির কাজে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে থাকা শ্রমিকদের প্রায়ই চিকিত্সার প্রয়োজন হলেও চিকিত্সক পদে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ফ্যাক্টরির লোকসান ও অনিয়ম বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. তৌহিদুর রহমান কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফ্যাক্টরির একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, অনিয়মের কারণেই লাভজনক এই প্রতিষ্ঠান লোকসান দিচ্ছে। তারা জানান, অনিয়ম চললেও কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুলতে পারেন না। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগ দেয়ার পর এ ব্যাপারে যেন অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
News Source
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও নানা অনিয়মের কারণে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে ছিঁটকে পড়ছে সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি। কারখানা পরিচালনায় যোগ্য ব্যক্তির সংকট এর প্রধান কারণ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ওই ফ্যাক্টরির-ই চিকিত্সক ডা. তৌহিদুর রহমান। বিক্রয় বিভাগের প্রধান হিসেবে আছেন ফ্যাক্টরি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবদুল বারী এবং হিসাব বিভাগের প্রধানের পদে আছেন অ্যাকাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা এস্কান্দার মির্জা। একইভাবে অন্যান্য পদেও চলছে দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তির সংকট।
ফ্যাক্টরি সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪ মাস আগে ফ্যাক্টরির চিকিত্সাকেন্দ্রের চিকিত্সককে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বিসিআইসিতেই (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) তোলপাড় চলে। এ নিয়ে বিসিআইসি ও ফ্যাক্টরির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। কিন্তু তারপরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. তৌহিদুর রহমান।
অদক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে অনিয়মও থেমে নেই। কাঁচামাল কেনা থেকে শুরু করে সংস্কার, নির্মাণকাজ সবকিছুতেই ভর করেছে অনিয়ম। নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের কারণে উত্পাদিত পণ্যের গুণগত মানও আগের মতো নেই। প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না বেসরকারি দুটি গ্লাস ফ্যাক্টরির সঙ্গে। ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে এক লাফে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মুনাফা কমে যায়। তবে মুনাফা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে ওই অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভিন্নভাবে ব্যাখা করা হয়।
পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি গ্লাস শিট উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাসির গ্লাস ও পিএইচপি তাদের উত্পাদিত পণ্য রফতানি করতে না পারায় অভ্যন্তরীণ বাজারে কম দামে বিক্রি করে। তাই বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার শিটের দাম পুনর্নির্ধারণ করায় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় মুনাফা কম হয়েছে।
এদিকে ডা. তৌহিদুর রহমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির চিকিত্সা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। গ্লাস ফ্যাক্টরির কাজে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে থাকা শ্রমিকদের প্রায়ই চিকিত্সার প্রয়োজন হলেও চিকিত্সক পদে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ফ্যাক্টরির লোকসান ও অনিয়ম বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. তৌহিদুর রহমান কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফ্যাক্টরির একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, অনিয়মের কারণেই লাভজনক এই প্রতিষ্ঠান লোকসান দিচ্ছে। তারা জানান, অনিয়ম চললেও কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুলতে পারেন না। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগ দেয়ার পর এ ব্যাপারে যেন অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
News Source
No comments:
Post a Comment