পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের জন্য ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে গণহারে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না। এ ধরনের কোম্পানিগুলো বোনাস বা রাইট শেয়ার না দিয়ে মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে উদ্যোক্তা শেয়ারধারীদের বাইরে সর্বোচ্চ ১০০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ছাড়তে পারবে।
এ ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের ১৫ দিনের মধ্যে তাদের নামের তালিকাসহ শেয়ারের বরাদ্দপত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দিতে হবে। মূলধন সংগ্রহের নামে অনৈতিক প্লেসমেন্ট শেয়ারের বাণিজ্য ঠেকাতেই এ বিধান করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করেছে। যা জনমত যাচাইয়ের জন্য শিগগিরই কমপক্ষে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসইসি মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়ার পর ন্যূনতম এক বছর এসব শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। শেয়ারের বরাদ্দপত্র হস্তান্তরের দিন থেকে এ সময় গণনা শুরু হবে।
নতুন নীতিমালায় মূলধন সংগ্রহের পর ন্যূনতম তিন বছর পর্যন্ত পুরোনো উদ্যোক্তাদের কাছে কোম্পানিটির কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগকারীদের আবেদনের ফরমের সঙ্গে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যুক্ত করার বিধান রাখা হচ্ছে।
আবার শেয়ার বিক্রির জন্য কোম্পানিকে সাধারণ আহ্বান বা বিজ্ঞাপন করা থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবনা বা তথ্য স্মারকে কোম্পানির অতীত ইতিহাস, ব্যবস্থাপনার মূল ব্যক্তিদের জীবনবৃত্তান্ত, মূলধন সংগ্রহের কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের তফসিল, সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, মৌলিক শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), সর্বশেষ তিন বছরের তরলীকৃত (ডাইলুটেড) ইপিএস, শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি), মূল্য নির্ধারণ ও প্রিমিয়াম থাকলে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে হবে। এগুলো প্রস্তুত ও এসইসিতে জমা দেওয়ার কাজটি করবে একটি মার্চেন্ট ব্যাংক।
জানা গেছে, মূলধন সংগ্রহের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক কোম্পানি অনৈতিক প্লেসমেন্ট বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। আর এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক মধ্যস্বত্বভোগীও আয় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
এ প্রতিবেদনে প্লেসমেন্ট শেয়ার বরাদ্দ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছিল। এরই ভিত্তিতে নবগঠিত এসইসি নীতিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে আগের এসইসিও নীতিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিল। ওই কমিশন সর্বোচ্চ ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ মূলধন সংগ্রহের প্রস্তাব করেছিল।
News Source
এ ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের ১৫ দিনের মধ্যে তাদের নামের তালিকাসহ শেয়ারের বরাদ্দপত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দিতে হবে। মূলধন সংগ্রহের নামে অনৈতিক প্লেসমেন্ট শেয়ারের বাণিজ্য ঠেকাতেই এ বিধান করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করেছে। যা জনমত যাচাইয়ের জন্য শিগগিরই কমপক্ষে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসইসি মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়ার পর ন্যূনতম এক বছর এসব শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। শেয়ারের বরাদ্দপত্র হস্তান্তরের দিন থেকে এ সময় গণনা শুরু হবে।
নতুন নীতিমালায় মূলধন সংগ্রহের পর ন্যূনতম তিন বছর পর্যন্ত পুরোনো উদ্যোক্তাদের কাছে কোম্পানিটির কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগকারীদের আবেদনের ফরমের সঙ্গে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যুক্ত করার বিধান রাখা হচ্ছে।
আবার শেয়ার বিক্রির জন্য কোম্পানিকে সাধারণ আহ্বান বা বিজ্ঞাপন করা থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবনা বা তথ্য স্মারকে কোম্পানির অতীত ইতিহাস, ব্যবস্থাপনার মূল ব্যক্তিদের জীবনবৃত্তান্ত, মূলধন সংগ্রহের কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের তফসিল, সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, মৌলিক শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), সর্বশেষ তিন বছরের তরলীকৃত (ডাইলুটেড) ইপিএস, শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি), মূল্য নির্ধারণ ও প্রিমিয়াম থাকলে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে হবে। এগুলো প্রস্তুত ও এসইসিতে জমা দেওয়ার কাজটি করবে একটি মার্চেন্ট ব্যাংক।
জানা গেছে, মূলধন সংগ্রহের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক কোম্পানি অনৈতিক প্লেসমেন্ট বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। আর এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক মধ্যস্বত্বভোগীও আয় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
এ প্রতিবেদনে প্লেসমেন্ট শেয়ার বরাদ্দ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছিল। এরই ভিত্তিতে নবগঠিত এসইসি নীতিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে আগের এসইসিও নীতিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিল। ওই কমিশন সর্বোচ্চ ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ মূলধন সংগ্রহের প্রস্তাব করেছিল।
News Source
No comments:
Post a Comment