Pages

Friday, October 21, 2011

হৈ চৈ করলে পুঁজিবাজার বাড়বে না – আ হ ম মোস্তফা কামাল

 বিদ্যমান ভ্যাট আইনকে আরো সহজ এবং সুবিধাভোগীবাল্পব্দব করার লক্ষ্যে এটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভ্যাট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে যে ভীতি রয়েছে তা দহৃর করে বাস্টøব সম্মত এবং যুগপোযোগী করে তুলতে এ আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। বিশ^ব্যাংক, আইএমএফ এ আইন সংশোধনে সরকারকে বিভিল্পু পরামর্শ দিবে। আইন সংশোধনের লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ^ব্যাংক এবং আইএমএফের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। এ সময় কমিটির সদস্য মাইদুল ইসলাম এমপি, এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. বেন তেরা আইনের যেসব বিষয়ে সংশোধনী আনতে হবে সে বিষয়ে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বৈঠক শেষে আ হ ম মোস্টøফা কামাল বলেন, ১৯৯১ সালে ভ্যাট আইন চালু হয়েছিল। এ আইনের  ত্রুটি বিচ্যুতি এবং আইনটিকে আরো সহজ এবং যুগোপযোগী করার জন্য বিভিল্পু ¯েল্টহোল্ডারদের কাছ থেকে দাবী উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজার নিয়ে এক প্রশেুর জবাবে তিনি বলেন, যারা হৈ চৈ করছে, তাদের কারণে শেয়ারবাজারে বাড়বে না। শেয়ারবাজারে আস্টøা সংকটকেই প্রধান সমস্যা বলে মল্পøব্য করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে আস্থা সংকট কেটে যাবে।
এদিকে ভ্যাট আইন সংশোধনের বিষয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার)  আইন সংশোধন বিষয়ে  প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অর্থমল্পúীসহ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্টি’ত থাকার কথা থাকলেও অন্য একটি কর্মসহৃচীর জন্য তারা উপস্থিত হতে পারেন নি। এ জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে আবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বিশ^ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও থাকবেন। তিনি আরও বলেন, আজকে যে ধরানাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে তার বেশ কিছু বিষয়ে আমরা নিজেদের মতামত দিয়েছি। এসব মতামতের আলোকে ওইদিন এ নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে। এরপর এফবিসিআইসহ সকল ¯েল্টক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে আইনটি সংশোধন করা হবে,যাতে আগামী ২ থেকে ৫ বছরে নতুন করে কোন সংশোধনী আনতে না হয়।
সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস ভ্যাট আয়কে উল্কেèখ করে বলেন, ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো যখন ব্যাট চালু করা হয় ,তখন সরকারের এ খাত থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কিল্পøু গত অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় অংশই আসছে ভ্যাট থেকে। মোস্তফা কামাল বলেন, আগামী দিনগুলোতে সরকারের আমদানী শুল্ক‹ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। ফলে সরকারকে আয়কর এবং ভ্যাটের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। ভ্যাট প্রথা চালুকে দেশের জন্য একটি সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত  বলে মন্তব্য করেন মোস্তফা কামাল। এখানে প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থমল্পúী সাইফুর রহমান বিরোধীদলসমহৃহের প্রবল বিরোধিতার মুখে ভ্যাট প্রথা চালু করেছিলেন।
পুঁজিবাজার নিয়ে সাংবাদিকদিরে এক প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা কামাল বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছে। শেয়ারবাজারে দরপতন হলে ব্যক্তি খাতের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। শেয়ারবাজারে যখন দর কমতে শুরু করে এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হন। হৈ চৈ করে শেয়ারবাজার বাড়ানো যাবে না। হৈ চৈয়ের কারণে বাজারে আতংক তৈরী হয়, এতে অনেকে আতংকগ্রস্ট’ হয়ে শেয়ার বিকিদ্ধ করে দেন। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হন। কিল্পøু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে সকিদ্ধয় নয়, এ বিষয়ে তার মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আরও কম দামে শেয়ার কিনতে চাইছে।
মোস্টøফা কামাল আরও বলেন, অর্থনীতির এমন কোন অবস্ট’া হয়নি যার জন্য শেয়ারবাজার খারাপ হতে পারে। আমাদের আয় বাড়ছে। আয় না বাড়লে আয়কর ২৮ শতাংশ বাড়তো না। দেশের রফতানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবজারের স্টি’তিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে চেদ্বা করছে। দেশের সামদ্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করার চেদ্বা চলছে। এতে সময় লাগবে। শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এনবিআর ও সরকারের কাছ থেকে যে পরিমান প্রচারণার প্রয়োজন ছিল তা হয়নি।
এনবিআর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, দেশের মাত্র ৭ টি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস রয়েছে। আগামীতে ৮৫ টি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস স্ট’াপনের প্রকিদ্ধয়া চলছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে থানা নির্বাহী কর্মকর্তার (টিএনও) মাধ্যমে রাজস্ট^ আদায়ের চিল্পøাভাবনা চলছে। এছাড়া আউট সোসিংএর মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয় পড়ূয়া ছাত্রদের মাধ্যমে আয়কর আদায়ের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশেুর উত্তরে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগে এনবিআরের পক্ষ থেকে উৎস স¤ক্সর্কে কোন প্রশু করা হবে না।

No comments:

Post a Comment