Pages

Wednesday, October 26, 2011

BAB - Bankers' fund to enter market Nov-end

Dhaka, Oct 25 (bdnews24.com) — The Stock Market Stabilisation Fund or SMSF will flow into the market in the last week of November.

After a meeting with market regulator Securities and Exchange Commission (SEC) on Tuesday, Bangladesh Association of Banks (BAB) chairman Nazrul Islam Mazumder told reporters, "We hope the fund will be in the market after all processes end by the last week of November."

"It will start initially with Tk 10 billion," Nazrul added.

He said the SEC has assured all help in this regard.

On Sunday, Nazrul said, "We have decided in principle to make the investments as soon as possible after receiving approval from the central bank and the share market regulator."

On Tuesday, he said, "Bangladesh doesn't have any asset management company to manage such a big fund. So we'll have to form an asset management committee, too."

The BAB chairman also insisted the fund is different from the banks' portfolio investment. "The banks are going to invest within the legal limit."

On Oct 20, Association of Bankers, Bangladesh (ABB) said they will start investing in the capital market from Sunday to bolster the sagging market. The exposure limit for banks in the capital market has been increased to 10 percent of their liabilities.

The bank owners' body chief also said 20 banks will contribute Tk 200 million each to this fund. Besides them, insurance association and listed companies will also subscribe to the fund to participate.

The announcements came after weeks of discussions on the issue as ministers, regulators and stock brokers sought to end protests by small investors over the past weeks. The investors have been calling for measures to pull up prices after indices plunged to lows on consecutive trading days early last week.

On Dec 5 last year, the DSE general index reached a record 8918 points. Unrest began in the market the following day, and December and January saw free fall.

Following the budget in June when the government allowed undisclosed income into the market, the bourses saw a month of improvement. However, the fluctuations returned by the end of July.

Tuesday, October 25, 2011

এই মুহূর্তে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময় কমছে না

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই মুহূর্তে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময়সীমা কমানো হচ্ছে না। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে বিষয়টি কার্যকর হবে। আজ মঙ্গলবার ডিএসইর পরিষদ সভায় (বোর্ড মিটিং) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঈদের পরের বুধ ও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী জানান, বাজারের অবস্থা ভালো না হওয়ায় এই মুহূর্তে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময়সীমা কমানো হচ্ছে না। বাজার স্বাভাবিক হলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এর আগে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার সময়সীমা টি+৩ থেকে টি+২-তে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে দায়িত্ব দেয় এসইসি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইর পর্ষদ সভায় বিষয়টি পরে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী জানান, আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ঈদ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। তাই ঈদ ৭ অথবা ৮ নভেম্বর হতে পারে। আজকের বৈঠকে ৯ ও ১০ নভেম্বর অর্থাত্ বুধ ও বৃহস্পতিবার লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

করপোরেট গভর্নেন্স ও ইনসাইডার ট্রেডিং-সংক্রান্ত দুটি কমিটি গঠন

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট গভর্নেন্স যুগোপযোগীকরণ এবং পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করার লক্ষ্যে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। আজ মঙ্গলবার এসইসির নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাইফুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট গভর্নেন্সের জন্য একটি গাইডলাইন রয়েছে। এই গাইডলাইনকে কীভাবে যুগোপযোগী, জবাবদিহিমূলক ও আরও গতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. ফরহাদ আহমেদকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান ও পরিচালক মাহমুদুল হক। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছে।
এ কমিটি করপোরেট গভর্নেন্সের গাইডলাইনটি পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করবে বলে জানান ফরহাদ আহমেদ।
সাইফুর রহমান আরও বলেন, পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং (সুবিধাভোগী ব্যবসা) কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং এ-সংক্রান্ত বিধিমালা আরও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিরও আহ্বায়ক এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। অন্য দুই সদস্য হলেন নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম। এ কমিটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে কমিশনের কাছে।
সাইফুর রহমান বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সুবিধাভোগী ব্যবসা নিয়ম নিষিদ্ধকরণ বিধিমালা ১৯৯৫-কে আরও যুগোপযোগী ও গতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে কমিটি বিধিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করবে।
বাজারে প্রায়ই ইনসাইডার ট্রেডিং হয়ে থাকে। তাই ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধের লক্ষ্যে এ কমিটি কাজ করবে।

Monday, October 24, 2011

BAB announces launching of market stabilisation fund - Banks to invest Tk 10b initially


Private commercial banks (PCBs) announced Sunday the launching of a Tk 50 billion stock market stabilisation fund (SMSF) to help revamp the country's stock market.

They will initially invest Tk 10 billion in the proposed fund, the size of which will be enhanced gradually.

The announcements came after an emergency meeting of the Bangladesh Association of Banks (BAB), a platform of owners of PCBs, held at its city office on the day with its Chairman Nazrul Islam Mazumdar in the chair.

At the meeting, the BAB decided that each of its member-banks would contribute Tk 200 million to the proposed SMSF while an amount of Tk 100 million would come from non-banking financial institutions (NBFIs), insurance companies and interested publicly listed companies.

Sixteen out of 29 BAB members attended the meeting while Chairman of the Bangladesh Insurance Association Sheikh Kabir Hossain was also present as an invited guest.

"We've decided to establish the fund aiming to bring back stability in the country's stock market," the BAB chairman told reporters after the meeting, adding that the fund will go into

operation shortly after receiving its approval from the central bank and the capital market regulator.

"We think that the PCBs will not face any hurdle to invest Tk 200 million to the fund," Mr Mazumdar said while replying to a query.

Some banks have already started making fresh investment in the stock market, he said, adding that the banks may invest Tk 400 billion-Tk 450 billion in the market.

The BAB chairman also said the fund will be operated like a mutual fund and its size will cross Tk 50 billion.

"An asset management company (AMC) will operate the fund in line with the existing rules and regulations," President of the Bangladesh Association of Publicly Listed Companies (BAPLC) Salman F Rahman said, while replying to a question.

The BAB has asked its member-banks to confirm their firm commitment to making their investment in the proposed fund by October 31 this year.

Another meeting of the BAB will be held after receiving such commitments from its member-banks, a private banker close to the BAB told the FE.

The meeting discussed in details the possibilities for participation of other financial institutions, insurance companies and publicly listed companies as sponsors of SMSF, in addition to that of banks. This was indicated in a working paper on the fund that dealt with issues on which decisions were required.

After discussions, the decision was taken in favour of such participation by financial institutions other than banks.

Three-page working paper, which was placed before the BAB's meeting on Sunday, also indicated the SMSF would be managed by a new AMC whose paid up capital would be Tk 100 million to be subscribed by the sponsors of the SMSF on a pro rata basis of 1.0 per cent of the contribution to the fund.

"This amount will be in addition to the sponsors' contribution to the fund," it said, adding that the board of directors of the AMC will comprise reputed and competent persons of the society, not in any way related to the sponsors of the SMSF.

The board of directors of the AMC will appoint a professional chief executive officer (CEO) who will be responsible for the day-to-day management of the AMC, according to the paper.

Saturday, October 22, 2011

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে বিএবি’র ৫ হাজার কোটি টাকা


পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকর্স (বিএবি)।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার শনিবার জানান, রোববার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে। এই তহবিলের নাম হবে মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (এমএসএফ)। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই তহবিল পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অব্যাহত দরপতনের মুখে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনোয়োগ বাড়ানোর ঘোষণার দুই দিনের মাথায় বিএবরি এই ঘোষণা এলো।
তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সেই ঘোষণার সঙ্গে এই তহবিলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান মজুমদার।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে। আর আমরা বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়াতে আলাদা এই তহবিল গঠন করছি।
তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, অতীতে দেশ ও জাতির যে কোনো দুর্যোগে বিএবি সবার আগে জনগণ ও সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে সংকট চলছে, তাতে বিএবির করণীয় নির্ধারণে রোববার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
সকাল ১১টায় গুলশানে জব্বার টাওয়ারে বিএবির কার্যালয়ে হবে এ বৈঠক।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আরো জানান, বাজার পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা এই তহবিল (এমএএফ) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনে তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে।

News Source


Friday, October 21, 2011

বিনিয়োগের অনুকূলে শেয়ারবাজার - বিশেষজ্ঞ ও বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিমত

দরপতনের কোন যুক্তি নেই ॥ মির্জ্জা আজিজ
বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, শেয়ারবাজারে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে নতুন বিনিয়োগ না আসার কোন কারণ নেই। কারণ বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দর কোম্পানির মৌলভিত্তির চেয়ে নিচে নেমে গেছে। 



কালো টাকা বিনিয়োগে বাধা নেই ॥ এনবিআর চেয়ারম্যান
কালো টাকা বিনিয়োগের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, টাকার উৎস সম্পর্কে কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যনত্ম কেউ এ সুযোগ গ্রহণ করেনি। তবে অর্থবছরের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে। শীঘ্রই অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন বলে আশা করা যায়। 


শেয়ারবাজার বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ ॥ ড. আহসান মনসুর
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, ২০১০ সালে দেশের শেয়ারবাজারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা কোনভাবেই স্বাভাবিক ছিল না। তবে কিছু দিন ধরে টানা দরপতনের কারণে বর্তমানে বাজারে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে। বর্তমান বাজারে শেয়ারের দর মৌলভিত্তির চেয়ে বেশিও নয়, আবার কমও নয়। অর্থাৎ, বাজার এখন স্বাভাবিক অবস্থানে রয়েছে। 


News Source


হৈ চৈ করলে পুঁজিবাজার বাড়বে না – আ হ ম মোস্তফা কামাল

 বিদ্যমান ভ্যাট আইনকে আরো সহজ এবং সুবিধাভোগীবাল্পব্দব করার লক্ষ্যে এটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভ্যাট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে যে ভীতি রয়েছে তা দহৃর করে বাস্টøব সম্মত এবং যুগপোযোগী করে তুলতে এ আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। বিশ^ব্যাংক, আইএমএফ এ আইন সংশোধনে সরকারকে বিভিল্পু পরামর্শ দিবে। আইন সংশোধনের লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ^ব্যাংক এবং আইএমএফের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। এ সময় কমিটির সদস্য মাইদুল ইসলাম এমপি, এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. বেন তেরা আইনের যেসব বিষয়ে সংশোধনী আনতে হবে সে বিষয়ে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বৈঠক শেষে আ হ ম মোস্টøফা কামাল বলেন, ১৯৯১ সালে ভ্যাট আইন চালু হয়েছিল। এ আইনের  ত্রুটি বিচ্যুতি এবং আইনটিকে আরো সহজ এবং যুগোপযোগী করার জন্য বিভিল্পু ¯েল্টহোল্ডারদের কাছ থেকে দাবী উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজার নিয়ে এক প্রশেুর জবাবে তিনি বলেন, যারা হৈ চৈ করছে, তাদের কারণে শেয়ারবাজারে বাড়বে না। শেয়ারবাজারে আস্টøা সংকটকেই প্রধান সমস্যা বলে মল্পøব্য করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে আস্থা সংকট কেটে যাবে।
এদিকে ভ্যাট আইন সংশোধনের বিষয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার)  আইন সংশোধন বিষয়ে  প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অর্থমল্পúীসহ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্টি’ত থাকার কথা থাকলেও অন্য একটি কর্মসহৃচীর জন্য তারা উপস্থিত হতে পারেন নি। এ জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে আবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বিশ^ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও থাকবেন। তিনি আরও বলেন, আজকে যে ধরানাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে তার বেশ কিছু বিষয়ে আমরা নিজেদের মতামত দিয়েছি। এসব মতামতের আলোকে ওইদিন এ নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে। এরপর এফবিসিআইসহ সকল ¯েল্টক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে আইনটি সংশোধন করা হবে,যাতে আগামী ২ থেকে ৫ বছরে নতুন করে কোন সংশোধনী আনতে না হয়।
সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস ভ্যাট আয়কে উল্কেèখ করে বলেন, ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো যখন ব্যাট চালু করা হয় ,তখন সরকারের এ খাত থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কিল্পøু গত অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় অংশই আসছে ভ্যাট থেকে। মোস্তফা কামাল বলেন, আগামী দিনগুলোতে সরকারের আমদানী শুল্ক‹ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। ফলে সরকারকে আয়কর এবং ভ্যাটের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। ভ্যাট প্রথা চালুকে দেশের জন্য একটি সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত  বলে মন্তব্য করেন মোস্তফা কামাল। এখানে প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থমল্পúী সাইফুর রহমান বিরোধীদলসমহৃহের প্রবল বিরোধিতার মুখে ভ্যাট প্রথা চালু করেছিলেন।
পুঁজিবাজার নিয়ে সাংবাদিকদিরে এক প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা কামাল বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছে। শেয়ারবাজারে দরপতন হলে ব্যক্তি খাতের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। শেয়ারবাজারে যখন দর কমতে শুরু করে এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হন। হৈ চৈ করে শেয়ারবাজার বাড়ানো যাবে না। হৈ চৈয়ের কারণে বাজারে আতংক তৈরী হয়, এতে অনেকে আতংকগ্রস্ট’ হয়ে শেয়ার বিকিদ্ধ করে দেন। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হন। কিল্পøু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে সকিদ্ধয় নয়, এ বিষয়ে তার মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আরও কম দামে শেয়ার কিনতে চাইছে।
মোস্টøফা কামাল আরও বলেন, অর্থনীতির এমন কোন অবস্ট’া হয়নি যার জন্য শেয়ারবাজার খারাপ হতে পারে। আমাদের আয় বাড়ছে। আয় না বাড়লে আয়কর ২৮ শতাংশ বাড়তো না। দেশের রফতানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবজারের স্টি’তিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে চেদ্বা করছে। দেশের সামদ্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করার চেদ্বা চলছে। এতে সময় লাগবে। শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এনবিআর ও সরকারের কাছ থেকে যে পরিমান প্রচারণার প্রয়োজন ছিল তা হয়নি।
এনবিআর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, দেশের মাত্র ৭ টি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস রয়েছে। আগামীতে ৮৫ টি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস স্ট’াপনের প্রকিদ্ধয়া চলছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে থানা নির্বাহী কর্মকর্তার (টিএনও) মাধ্যমে রাজস্ট^ আদায়ের চিল্পøাভাবনা চলছে। এছাড়া আউট সোসিংএর মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয় পড়ূয়া ছাত্রদের মাধ্যমে আয়কর আদায়ের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশেুর উত্তরে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগে এনবিআরের পক্ষ থেকে উৎস স¤ক্সর্কে কোন প্রশু করা হবে না।

সর্বোচ্চ ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা : এবিবির ঘোষণায় বাজার চাঙ্গা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনিসীমার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। সম্ভাব্য এই অংক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগহীন মূলধনের সাড়ে ৬ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব ব্যাংককে আইনিসীমার মধ্যে থেকে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।
এ সময় এবিবি জানায়, ধারাবাহিক মন্দাভাব বিবেচনায় এনে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির এমন খবরে গতকাল চাঙ্গা হয়ে ওঠে পুঁজিবাজার। বাজার স্থিতিশীলকরণে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে ফেরা ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬-এর (খ) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ হিসাবে ব্যাংকগুলো আইনিসীমার মধ্যেই আরও সাড়ে ৬ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। সে অনুযায়ী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৩টি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে। এসব ব্যাংকের বর্তমানে মোট আমানতের (দায়) পরিমাণ ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ব্যাংকগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগ আছে ১৬ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান (সাবসিডিয়ারি) হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ২০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সামগ্রিকভাবে আমানতের মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী পুঁজিবাজারে সোনালী ব্যাংকের মোট দায়ের ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। জনতা ব্যাংকের রয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। একইভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ দশমিক ১৯, আইএফআইসির ৮ দশমিক ২৭, রূপালী ব্যাংকের ৪ দশমিক ৪৪, ব্যাংক এশিয়ার ৫ দশমিক ২৬, এনসিসিবিএলের ৫ দশমিক ১০, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৩ দশমিক ৫১, অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৯৮, বেসিক ব্যাংকের শূন্য দশমিক ৫৫, দি সিটি ব্যাংকের ১১ দশমিক ৩০, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১ দশমিক ২৮, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯৯, ঢাকা ব্যাংকের ২ দশমিক ৯৭, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪ দশমিক ০৬, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২ দশমিক ০৩, এসআইবিএলের ১ দশমিক ৩২, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১ দশমিক ০৫, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৬ দশমিক ৩৫, উত্তরা ব্যাংকের ২ দশমিক ৩০, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শূন্য দশমিক ২৬, প্রাইম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩০, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪১, এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪০, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬২, পূবালী ব্যাংকের ৩ দশমিক ২৬,  ইউসিবিএলের ২ দশমিক ৬৭, যমুনা ব্যাংকের ৩ দশমিক ৬৭, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২ দশমিক ৬৪, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২ দশমিক ৭৬, ওয়ান ব্যাংকের ৮ দশমিক ৫৪, এক্সিম ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৩ এবং ব্যাংক আল ফালাহের ২ দশমিক ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে শেয়ারবাজারে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে আইনিসীমার মধ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে যাচ্ছে। এবিবির সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তার দৈনকি স্টক বাংলাদেশকে বলেন, পুঁজিবাজারের ক্রমাগত মন্দায় আমরা জরুরি বৈঠক করেছি। বৈঠকে ব্যাংকগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি, ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এলে বাজার চাঙ্গা হবে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই বিনিয়োগ শুরু করবে। বাজারের ক্রমাগত মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এবিবির এমন ঘোষণায় পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিক্ষোভের পক্ষে নই। আমরা চাই, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হোক। এবিবির ঘোষণায় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 
বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো শেয়ারে বিনিয়োগ করবেÑ এটাই নিয়ম। তবে ব্যাংকের মোট আয়ের ১০ শতাংশ থেকে বিনিয়োগ কমিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ নামিয়ে আনা বাজারের জন্য ক্ষতিকর। হঠাৎ করে ব্যাংকের বিনিয়োগ এতটা হ্রাস করা বাজারের জন্য ভালো হয়নি। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। 

Wednesday, October 19, 2011

জিবিবি পাওয়ারের আইপিও অনুমোদন - IPO of GBB Power Limited

ঢাকা, অক্টোবর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের আইপিও প্রোসপ্রেক্টাস অনুমোদন করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২ কোটি ৫ লাখ শেয়ার ছেড়ে জিবিবি পাওয়ার পুঁজিবাজার থেকে ৮২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। এর সঙ্গে ৩০ টাকা প্রিমিয়াম যোগ করে ইস্যুমূল্য হবে ৪০ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি তাদের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা। ইস্যু ম্যানেজার হিসাবে রয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

প্রোসপেক্টাসে বলা হয়েছে, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আইপিও পূর্ব পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড নিবন্ধিত হয়। ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে তালিকাভুক্তির পর ১৭জুন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।

২০০৭ সালের ১৭ জুন বগুড়ায় একটি ২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে প্রতিষ্ঠানটি। 

Tuesday, October 18, 2011

* বিনিয়োগ করমুক্ত * আয়কর রেয়াত * উৎসে কর ৫ পয়সা * অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপদেষ্টা কমিটি

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকে করমুক্ত ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর উৎসে কর ১০০ টাকায় ১০ পয়সা থেকে কমিয়ে পাঁচ পয়সা করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সিকিউরিটিজ বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ওপর আয়কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে সরকার। গতকাল সোমবার পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরণ অনশনসহ নানা কর্মসূচি চলার প্রেক্ষাপটে গত রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। এর পরদিনই এসব ঘোষণা আসে।
এদিকে সরকারি পদক্ষেপ শুধু আশ্বাসের মধ্যে না রেখে বাস্তবে রূপ দেওয়ার দাবিতে রবিবার থেকে অনশন ও বিক্ষোভ করছে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। গতকালের ঘোষণার পরও তারা অনশন ভাঙেনি। পুলিশের বাধার মুখে কয়েক দফা স্থান পরিবর্তন করে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। আগের দিনের ১৮১ পয়েন্ট পতনের পর গতকাল সোমবার ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৩৬.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৪২৩.৯১ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।
গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বাজার পরিস্থিতি ও সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান এসইসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসইসির পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী করতে তাঁরা একমত পোষণ করেন। কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তার সবই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ব্যয় হ্রাস এবং প্রণোদনা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর রেয়াত প্রদানের বিষয়ে ইতিমধ্যেই এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সেসব বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানান ড. খায়রুল হোসেন।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্রোকারেজ কমিশনের ওপর কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.১০ শতাংশ করা হয়েছিল। বর্ধিত এই কর হ্রাস করে পুনরায় ০.০৫ শতাংশ করা হয়েছে। কর কমানোর পরও কোনো ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীদের ওপর আরোপিত কমিশন না কমালে এসইসির পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও আয়ের ওপর সব কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে যেভাবে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, এখনো তা পুরোপুরি বহাল রয়েছে। এই নিয়ে নতুন করে কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই। শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ করলে তার উৎস নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
এসইসি চেয়ারম্যান বলেন, রবিবার রাতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে এসইসি এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাজারে তার কী ধরনের ফল হয়েছে, সে বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। অবশ্যই এর ফল পাওয়া যাবে।
গত বুধবার এসইসির সঙ্গে এনবিআরের বৈঠক থেকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এনবিআরের পক্ষ থেকে দেওয়া সেই আশ্বাসের বিষয়টি সেদিন সংবাদ সম্মেলন করে জানায় এসইসি। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা ওই আশ্বাসে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনি। তাই তারা বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তাদের বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। রবিবার আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। এই কর্মসূচির প্রতি একাত্ম প্রকাশ করেন বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এরপর রবিবার রাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উপদেষ্টা কমিটি গঠন : শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে সরকার। ছয় সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া পুঁজিবাজার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে অভিজ্ঞ ও আইনজ্ঞদেরও রাখা হয়েছে কমিটিতে। অস্থিতিশীল পুঁজিবাজারকে আরো দক্ষ, স্বচ্ছ, স্থিতিশীল করাসহ বিভিন্ন সময় এ কমিটি উপদেশ দেবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আহ্বায়ক করে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সিদ্দিকী ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট আনিসুল হক রয়েছেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাও থাকছেন এ কমিটিতে। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রবিধি, নীতি ও মূলধন মার্কেট) উপদেষ্টা কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে কাজ করবেন। এত দিন এ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন অমলেন্দু মুখার্জি। তবে সম্প্রতি তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই পদে নতুন করে যিনি দায়িত্ব নেবেন, তিনিই উপদেষ্টা কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে 'উলি্লখিত উপদেষ্টা পরিষদ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন, বিধি-বিধানসহ প্রাসঙ্গিক সব বিষয়ে উপদেশ দেবে। এই উপদেষ্টা পরিষদ প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য যথাসময়ে কো-অপ্ট করতে পারবে।'
সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে মনোনয়নের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ইস্যু করা প্রতি চারটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটিতে ৯০০ টাকা হারে এবং রূপালী ব্যাংকের দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটিতে ৩০০ টাকা হারে প্রিমিয়াম দেওয়ার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। উভয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ছিল ১০০ টাকা করে। গতকাল অর্থ বিভাগের অনুমোদনের জন্য এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অর্থ বিভাগের অনুমোদনের পর খুব শিগগির এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের প্রিমিয়াম দেওয়া হবে।
গতকাল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সিকিউরিটি ইস্যুর ক্ষমতা কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা হলো। কমিশনই এখন থেকে এ দায়িত্ব পালন করবে। দেশে মোট মার্চেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা ৫০।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন : শেয়ারবাজার চাঙ্গা করার জন্য এ খাতের বিনিয়োগকে করমুক্ত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) জানিয়ে দিয়েছে এনবিআর।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বন্ড বা সিকিউরিটিজের লেনদেন মূল্যের ওপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার কমিয়ে ০.০৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলাদা আরেকটি প্রজ্ঞাপনে স্টক এঙ্চেঞ্জে তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সিকিউরিটিজ বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ওপর আয়কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ৪৪ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর ধরা হবে।
এ ছাড়া অন্য এক প্রজ্ঞাপনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইস্যুকারী ব্যক্তির ওই ফান্ড থেকে অর্জিত আয়কে কর অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর।
রাজস্ব বোর্ডেও আয়কর অনুবিভাগ থেকে জারি করা তিনটি প্রজ্ঞাপনেই স্বাক্ষর করেছেন অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মো. আমিনুল করিম।

পুঁজিবাজারে কারসাজি: ২ মামলায় ৫ আসামির জামিন

মবিনুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দু‘টি মামলায় ৫ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার আসামিরা ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে মহানগর হাকিম এজিএম আল মাসুদ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হচ্ছেন-সৈয়দ সিরাজ উদ দৌলা, তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার মায়া, হাবিবুর রহমান মোড়ল, আবু সাদাত মো. সায়েম ও মোবিন মোল্লা।
গত ২১ আগস্ট সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) পক্ষে এর পরিচালক মাহবুবের রহমান চৌধুরী মামলা দু’টি করেন।
ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, সৈয়দ সিরাজ উদ রদৗলা, তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার মায়া ও হাবিবুর রহমান মোড়ল পিএফআই সিকিউরিটি হাউজের মাধ্যমে শেয়ার ট্রেডিং করতো। তারা গত বছরের ৩০ জুন হতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে পরস্পর একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার বড় ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে একটি সক্রিয় পুঁজিবাজার লেনদেনের পরিবেশ সৃষ্টি করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে তাদের কাছে রক্ষিত শেয়ার বিক্রি করে অবৈধভাবে লাভবান হয়।
আবু সাদাত মো. সায়েম ও মোবিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তারা গত বছরের ২৭ জুলাই হতে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে পরস্পর একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার বড় ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে একটি সক্রিয় পুঁজিবাজার লেনদেনের পরিবেশ সৃষ্টি করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে তাদের কাছে রক্ষিত শেয়ার বিক্রি করে অবৈধভাবে লাভবান হয়।
তাদের বিরুদ্ধে সালতা ক্যাপিটাল লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, আইআইডিএফসি ক্যাপিট্যাল লিমিটেড ও আইআইডিএফসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখ্য, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী তদন্তে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে চেয়ারম্যান করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুল বারীকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি গত ৩১ মার্চ সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির অভিযোগ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ

ঢাকা, অক্টোবর ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কোনো ব্যাংক তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর গড় বিনিয়োগ তাদের দায়ের ৪ শতাংশের কাছাকাছি।

তাই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)- এর পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোকে আইনি সীমার মধ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে আহ্বান জানানো হবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন এবিবির সহ-সভাপতি ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমীন।

তিনি বলেন, "শেয়ারবাজারে যে সব ব্যাংকের বিনিয়োগ আইনি সীমার নিচে রয়েছে, তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করবো আমরা। এ জন্য শিগগিরই একটি বৈঠক ডাকা হবে।"

দেশে ১১টি ব্যাংকের সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে জানিয়ে আমীন বলেন, "আইনি সীমার মধ্যে থেকে শেয়ারবাজার নিয়ে ব্যাংকগুলোর কিছু করার থাকলে গভর্নর তা করতে বলেছেন।"

"শেয়ারবাজারের জন্য এবিবি কোনো উদ্যোগ নিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এবিবির পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে, তা বৈঠকে ঠিক করা হবে," বলেন তিনি।

নুরুল আমীন জানান, তার সঙ্গে বৈঠকের সময় গভর্নর আতিউর রহমান এবিবির সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আসা দরকার মন্তব্য করে এবিবি সহভাপতি বলেন, "বাজারে আস্থার সঙ্কট রয়েছে।"

আস্থার সঙ্কট কী- তা জানতে চাওয়া হলে একটি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির সুপারিশ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলেই আস্থার সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

গত বছরের শেষ দিকে এবং এ বছরের শুরুতে পুঁজিবাজারে উত্থান-পতনের পর পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগ উঠলে সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি এ বছরের ৭ এপ্রিল সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেয়। তারা পুঁজিবাজারে অনিয়মের কয়েকটি ঘটনার প্রমাণ পায়। বাজার স্থিতিশীল করতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ দেয় ওই কমিটি।

Friday, October 14, 2011

৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে FAS Finance

২০১৩ সালের মধ্যে বাড়ি-গাড়ি কেনার জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে এফএএস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাড়ি-গাড়ি কেনার সুবিধা দিতে গাড়ি-বাড়ি লোন মেলার আয়োজন উপলক্ষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। নিটল-নিলয় গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এফএএসের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে এ মেলা। ১৫ অক্টোবর রাজধানীর মহাখালীর হোটেল অবকাশে এ মেলা শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমদ। তিনি মেলার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। উপস্থিত ছিলেন নিটল-নিলয় গ্রুপের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, এফএএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজ উদ্দিন চৌধুরী, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুত্ফর রহমান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ শাখার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাজেশ কুমার সিং।
আবদুল মাতলুব আহমদ জানান, আগামী বছরের মার্চ নাগাদ ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে এফএএস। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি এবং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে তার এ প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সহায়তা করবে তাদের।
গাড়ি-বাড়ি লোন মেলা চলবে বছরব্যাপী। প্রতি শনিবার হোটেল অবকাশে এ মেলা বসবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে দেশের ১৬টি শহরে আয়োজন করা হবে গাড়ি-বাড়ি লোন মেলা। মেলায় ক্রেতাদের জন্য থাকবে নিশ্চিত মূল্য ছাড়, বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ব্যবস্থা। মোট ১০টি স্টল থাকবে এ মেলায়। এর মধ্যে টাটা ন্যানো, টাটা এস পিকআপ ও নিটল গ্রুপের জন্য বরাদ্দ থাকবে তিনটি স্টল। বাকি সাতটি স্টলে পর্যায়ক্রমে দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

News Source


১ লাখ ২২ হাজার পোর্টফোলিওতে ১৩ হাজার কোটি টাকা অলস পরে আছে

পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক আচরণ ও ধারাবাহিক দরপতনের কারনে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার বিও(বেনিফিশিয়ারি ওনার্স)একাউন্ট বা পোর্টফোলিও।এর ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অলসভাবে পরে আছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। ডিএসই ও সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার লোকসানে মেরে পোর্টফোলিওতে ক্যাশ করে রাখনে। এ পোর্টফোলিও’র মধ্যে ৫ হাজার থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সুত্র জানায়, এ সব পোর্টফোলিওতে  অনেক সময় কিছু কিছু লেনদেন হলেও মোটা অংকের টাকা এমনি পরে রয়েছে। আবার অনেক পোর্টফোলিওতে গত ছয় মাস ধরে কোন লেনদেন কোনভাবেই হয় নি।
এ বিষয় ডিএসই’র সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, কত টাকা পরে আছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এগুলো বিষয়ে ডিএসই’র সার্ভিলেস বিভাগ বলতে পারবে। তবে কোন বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে টাকা পড়ে থাকলে আমাদের কোন কিছু করার নেই। তার টাকা সে বিনিয়োগ করতেও পারে নাও করতে পারে। বিনিয়োগকরার সিদ্ধান্তটি তারই।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েসনের (বিএমবিএ) সহ-সভাপতি মুহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বর্তমানে তারল্য সংকট ভুগছে এ কথা যেমনটি সত্য। অনেক পোর্টফোলিওতে মোটা অংকের টাকা পড়ে রয়েছে এটাও সত্য। তবে তারা আমাদের গ্রাহক। তাদের আমরা ফোর্স করতে পারি না। বিনিয়োগকরার জন্য চাপ দিতেও পারি না।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরী অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিও একাউন্ট রয়েছে মোট ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ১০৯টি। এর মধ্যে পুরুষ একাউন্ট রয়েছে রয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি, মহিলা একাউন্ট রয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৯২টি এবং ৮ হাজার ৩৯০টি কোম্পানি বিও একাউন্ট রয়েছে । এর মধ্যে দেশি একাউন্ট হচ্ছে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৬১৪ টি ও প্রবাসী একাউন্ট রয়েছে ১লাখ ৩৮ হাজার ১০৫টি।

News Source

Bangladesh Insurance Association (BIA) moves to invest Tk 45b life insurance fund in Dhaka Stock Market


Bangladesh Insurance Association (BIA) has initiated a move to facilitate investment of an amount of Tk 45 billion of life insurance fund in the country's stock market.

"We have a plan to move forward a proposal to the Dhaka Stock Exchange (DSE) for investing 30 per cent of Tk 150 billion life fund in stock market," Chairman of BIA Sheikh Kabir Hossain Thursday said.

To this effect, the BIA, the apex body of the country's insurers, has already formed a three-member committee with the task of finalising the proposal, Mr Kabir informed a group of journalists after an emergency meeting of the executive committee of the BIA at its office in the capital.

"We also want at least 10 per cent quota in the Initial Public Offerings (IPOs) to ensure safety and security of policy holders' money," he said.

He said that at present the BIA invested about five per cent of life fund of its member-companies in the stock market.

"We asked the committee to submit its report within seven days. After we receive the report, we will submit it to the DSE," he added.

Senior vice-president of DSE Dhaka Share Market and managing director of Sandhani Life Insurance Co Ltd Ahsanul Islam Titu is the convenor of the committee while managing director of Progressive Life Insurance Co Ltd MA Karim and vice-chairman of Karnaphuli Insurance Co Ltd Nasir Uddin Ahmed Pavel are its members.

The BIA chairman, however, reiterated the demand that the government should put on hold the implementation of the decisions that were taken by the regulatory authority. Those decisions, if implemented, will adversely impact the businesses in the sector, he claimed.

"Our demands are not illegal or irrational. We believe that good sense will prevail upon the Insurance Development and Regulatory Authority (IDRA) to appreciate our realistic demands," he added.

He said, the IDRA is now trying to regulate the insurance companies by issuing circulars but it has not yet prepared any guidelines on the basis of consultations with the stakeholders.

This practice runs afoul of the directive of the ministry of finance (MoF), he alleged.

"In accordance with the government directives, all the banks and financial institutions should run their business activities on all working days from 10:00 am to 6:00 pm. But IDRA directed the insurance companies to run their daily business activities from 9:00 am to 5:00 pm. This is badly hampering the functioning of insurance companies in coordination with those of the banks," he added.

He also called upon the government not to allow the chairman of IDRA to take any further decision regarding the businesses of, and imposition of any penalty against, the insurance companies.

He urged the IDRA to keep all the decisions that it has taken so far in abeyance and to sit in a meeting with the stakeholders so that the sector can smoothly move forward.

He said the decision which the IDRA has already taken about not allowing a person to remain a director of two financial institutions at a time, is "not business friendly" at all.

He also took a strong exception to the move taken by the regulator about imposition of penalty against the "errant" insurance companies.

The regulator -- IRDA -- has earlier asked all insurance companies to strictly comply with the provisions of Insurance Act of 2010.

It has directed all insurers to submit the names of directors, if any, who have been holding directorship simultaneously of more than one insurance company and also of any bank or other financial institution by October 16.

The directors of insurance companies have been opposing the provisions of the Insurance Act under which directors of any insurance company have been debarred from holding directorship simultaneously with any other insurance company or bank or financial institution, since the enactment of the Act.

IDRA issued the circular in conformity with the provisions of the Insurance Act of 2010 (75) which barred an individual from becoming the director of a bank, financial institution or an insurance company at a time.

IDRA officials said the circular was issued for establishing transparency in the insurance sector and addressing the issue of conflict of interests.

A banking company will be defined in accordance with the provisions of the Bank Company Act of 1991, while a financial institution will be defined in accordance with the Financial Institution Act of 1993, the circular said.

According to the Bank Company Act, 1991 (BCA, 1991), an individual is not allowed to become a director of more than one banking company or more than one financial institution or more than one insurance company at a time.

Managing Director and Chief Executive Officer (CEO) of Green Delta Insurance Co Ltd Nasir A Choudhury, vice-chairman of Nitol Insurance Co Ltd AKM Monirul Hoque, vice-chairman of Karnaphuli Insurance Co Ltd Nasir Uddin Ahmed, managing director (MD) of Progressive Life Insurance Co Ltd MA Karim and managing director (MD) of Continental Insurance Ltd Md Hashmat Ali, among others, were present at the BIA meeting on Thursday.

News Source


পুঁজিবাজারে লাইফ ফান্ডের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগের দাবি

পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক আচরণ ও ধারাবাহিক দরপতনের কারনে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার বিও(বেনিফিশিয়ারি ওনার্স)একাউন্ট বা পোর্টফোলিও।এর ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অলসভাবে পরে আছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। ডিএসই ও সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার লোকসানে মেরে পোর্টফোলিওতে ক্যাশ করে রাখনে। এ পোর্টফোলিও’র মধ্যে ৫ হাজার থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সুত্র জানায়, এ সব পোর্টফোলিওতে  অনেক সময় কিছু কিছু লেনদেন হলেও মোটা অংকের টাকা এমনি পরে রয়েছে। আবার অনেক পোর্টফোলিওতে গত ছয় মাস ধরে কোন লেনদেন কোনভাবেই হয় নি।
এ বিষয় ডিএসই’র সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, কত টাকা পরে আছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এগুলো বিষয়ে ডিএসই’র সার্ভিলেস বিভাগ বলতে পারবে। তবে কোন বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে টাকা পড়ে থাকলে আমাদের কোন কিছু করার নেই। তার টাকা সে বিনিয়োগ করতেও পারে নাও করতে পারে। বিনিয়োগকরার সিদ্ধান্তটি তারই।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েসনের (বিএমবিএ) সহ-সভাপতি মুহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বর্তমানে তারল্য সংকট ভুগছে এ কথা যেমনটি সত্য। অনেক পোর্টফোলিওতে মোটা অংকের টাকা পড়ে রয়েছে এটাও সত্য। তবে তারা আমাদের গ্রাহক। তাদের আমরা ফোর্স করতে পারি না। বিনিয়োগকরার জন্য চাপ দিতেও পারি না।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরী অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিও একাউন্ট রয়েছে মোট ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ১০৯টি। এর মধ্যে পুরুষ একাউন্ট রয়েছে রয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি, মহিলা একাউন্ট রয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৯২টি এবং ৮ হাজার ৩৯০টি কোম্পানি বিও একাউন্ট রয়েছে । এর মধ্যে দেশি একাউন্ট হচ্ছে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৬১৪ টি ও প্রবাসী একাউন্ট রয়েছে ১লাখ ৩৮ হাজার ১০৫টি।

News Source


Thursday, October 13, 2011

ডিএসইর ভুল সূচক সংশোধন করা হবে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভুল মূল্যসূচক সংশোধনে উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। মূল্যসূচক পুনর্গঠনে সংস্থাটি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। 
এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারেকুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও পরিচালক মাহবুবুল আলম। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে মূল্যসূচক পুনর্গঠন প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে মূল্যসূচক সংশোধনে এসইসির সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি দেয় ডিএসই। এরপর পাঁচ মাসের বেশি সময় কেটে গেলে এসইসি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে ডিএসইর মূল্যসূচক ভুল বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
এসইসি সূত্র জানায়, কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ভুল সূচক সংশোধনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্প্রতি শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যসূচক সংশোধনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল সুপারিশ করেছে। 
মূল্যসূচক সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, ‘সূচক সংশোধনের এখনই ভালো সময়। জরুরি ভিত্তিতেই এটা করা উচিত।’
জানা গেছে, এরই মধ্যে কমিটি দ্বিতীয় দফায় সূচক সমন্বয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সূচকের অবস্থানের ভিত্তিতে এই হালনাগাদ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিজনিত অতীতের ভুলের কারণে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকে প্রায় এক হাজার ৯০০ পয়েন্ট বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। পদ্ধতিগত অন্য ভুলগুলোকে হিসাবে নিলে এর পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়বে বলে জানান কমিটির প্রধান মাহমুদ ওসমান ইমাম।
গত আগস্টে ডিএসইর ভুল মূল্যসূচক নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেছিলেন, ‘ঈদুল ফিতরের পরপরই সূচক সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিগত কমিশন এই ভুল সূচক সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল। তখনকার কমিশনের সুপারিশে ডিএসই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। 
কমিটির প্রতিবেদনে অতীতে সূচক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পাঁচটি ভুল চিহ্নিত করা হয়। যদিও এর মধ্যে সূচক নির্ণয়ের পদ্ধতি কিছুটা সংশোধন করেছে ডিএসই। তা সত্ত্বেও আগের ভুলের ধারাবাহিকতা এখনো অক্ষুণ্ন রয়েছে বলে জানান মাহমুদ ওসমান ইমাম। 
মাহমুদ ওসমান বলেন, ‘পদ্ধতি পরিবর্তন করা হলেও সূচকের বাড়তি অংশ এখনো বাদ দেওয়া হয়নি। তাই এই সূচক বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। 
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস ও রাইট শেয়ার ঘোষণা, ঋণভিত্তিক সিকিউরিটিজ (ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি), নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তি ও লেনদেন নিষিদ্ধ শেয়ারকে সূচকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পদ্ধতিগত ভুল করা হয়েছে।

Regulator moves on flawless index calculation for DSE


The stockmarket regulator has formed a three-member committee to introduce a flawless index computation method on the bourses.
The Securities and Exchange Commission (SEC) came up with the body after an index development committee earlier submitted a report on flawless index calculation method to the commission.
The SEC asked the new committee, led by the regulator's Executive Director ATM Tariquzzaman, to submit a report to the commission in the next 15 working days.
The commission yesterday issued an office order to this effect, said an SEC official.
The two other members of the committee are Executive Director Md Anowarul Islam and Director Mahbubul Alam.
The index development committee in its report said the General Index of the Dhaka Stock Exchange (DGEN) was 1,900 points higher than the amount that should have been up to June this year.
If other technical faults of the counting system are taken into consideration, the points would be higher, according to the report.
The report also made two recommendations on flawless index computation -- the first one is about eliminating the wrongly added points from the index, and the second is about launching a new index.
The first recommendation will be difficult to implement, while the second one will be easier and more market friendly to put into place, the report said.
The flawed computation in indices first came to light through media reports in January last year, following the trading debut of Grameenphone on the stockmarket in November 2009. Presently, each bourse has three types of indices. The DSE introduced the general index on November 27, 2001 with a base of 817.62 points. The index, which excludes 'Z' category companies, is calculated on the basis of individual stock price movements under the 'A', 'B', 'G' and 'N' categories.
Previously, there was only one index that included all the securities of the stock exchange. Starting with a base of 350 points, the index rose as high as 3,648.75 points on November 5, 1996, when the market witnessed a 'bubble and bust'.

Wednesday, October 12, 2011

কালো টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: এসইসি

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।

বুধবার এসইসির সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এম খায়রুল হোসেন বলেন, সরকার একটি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার চায়। এ লক্ষ্যেই পুর্নগঠিত এসইসি কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এর সুফল পেতে একটু সময় লাগবে।

এসইসি সঠিক পথে এগুচ্ছে এমন দাবি করে এম খায়রুল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন পুঁজিবাজারে দরপতনে সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণ অনুসন্ধান করতে এসইসিকে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এসইসি কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

এসইসির চেয়ারম্যান জানান, বুধবার সকালে এনবিআর’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এসইসির একটি প্রতিনিধি দল। তাতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থ  আগের মত করমুক্ত রাখা, মিউচুয়াল ফান্ডের উপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর উপর ১০ পয়সা আরোপিত কর কমিয়ে আগের মত ৫ পয়সা করার অনুরোধ জানানো হয়। 

http://banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=0ebf8ab72300320714488d4aa61daa74&nttl=2011101262639

Tuesday, October 11, 2011

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা নিজের দোষেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু সে দোষ এসে পড়েছে সরকারের ঘাড়ে।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা নিজের দোষেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু সে দোষ এসে পড়েছে সরকারের ঘাড়ে। এভাবে নিজের দোষ অন্যের উপর চাপানো ঠিক না। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ধৈর্য ধরে দীর্ঘ সময় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হয়। তার পরই সফলতা আসে।

সোমবার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ফাণ্ড’ এর ইউনিট বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন না, বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করেন না, গুজবের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করেন, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন, পুঁজি হারান।

বাংলাদেশ ফান্ড পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ্ করে ড. মশিউর রহমান বলেন, এই ফান্ড বাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধি করবে। এতে বাজার দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন।  ফান্ডের পরিচালকদের উদেশ্য করে তিনি বলেন, নিয়ম মেনে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করবেন। দ্রুত মুনাফার পিছনে ছুটবেন না।

অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আমাদের শেয়ারের লট বিতরণ সব সময় দুর্নীতিমুক্ত থাকে। কারণ আমি আমার নিজের বন্ধুর কোম্পানির শেয়ারের লট কেনার জন্য আবেদন করেও পাইনি। দুর্নীতি হলে নিশ্চয় পেতাম। পুঁজিবাজারের তথ্য পাচার দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ্ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা তথ্য পাচার করেন, অন্যের অর্থ ব্যবহার করে লাভবান হয়েছেন নিশ্চয় তারা দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।

আইসিবি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন, আইসিবির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান প্রমুখ।

News Source


বাংলাদেশ ফান্ডের ইউনিট সার্টিফিকেট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু

যারা দ্রুত মুনাফা সংগ্রহের জন্য দৌড়ঝাঁপের মানসিকতা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। আর এসব ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরাই সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন। এটা সুনাগরিকের আচরণ নয়। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে বাংলাদেশ ফান্ডের ইউনিট বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ঢাকা ব্যাংক ও এবি ব্যাংককে ২০ কোটি টাকা করে মোট ৪০ কোটি টাকার ইউনিট বিক্রি করেন।
মশিউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে ঝুঁকি আছে। তাই যাঁঁরা এখানে টাকা খাটাবেন, তাঁদের অবশ্যই চোখ-কান খোলা রেখে টাকা খাটাতে হবে। আর যাঁরা গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা অনেক বেশি। আর পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন তো রয়েছেই। তাই সবাইকে সমীকরণ করে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় মশিউর রহমান এসইসির দক্ষতা বাড়ানো, আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ, তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধি, সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ, ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ এবং অন্যায়ভাবে কাউকে লাভবান করার বা নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা না করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ফান্ডের বিষয়ে মশিউর রহমান বলেন, এটা একটি সময়োচিত, সঠিক ও প্রশংসিত উদ্যোগ। শুধু মুনাফার পেছনে না দৌড়ায়ে এসব ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে তা অত্যন্ত সুফল বয়ে আনবে।
এ সময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ ফান্ডের প্রধান উদ্যোক্তা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান।
এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। শেয়ারবাজারে সবাই যখন আস্থা হারাতে বসেছিল, তখন এই পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ফলে বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়বে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উত্সাহিত হবেন। পাশাপাশি দেশের শিল্প, অবকাঠামো ও বস্ত্র খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তহবিল গঠনে সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারের পতনের ধারা রোধ করতে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিবি। কয়েক দফা আলোচনার পর ৬ মার্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২৯ মার্চ এসইসিতে ফান্ড নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হয়। ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই ফান্ড অনুমোদন করা হয়। নিবন্ধন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ৪ মে বাংলাদেশ ফান্ডের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় এসইসি। পরদিন ৫ মে থেকে উদ্যোক্তা অংশের দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করে ফান্ডটি।

News Source


Monday, October 10, 2011

তিন কম্পানির আইপিও ডিএসইতে অনুমোদন

ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পরিষদ তিনটি কম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে। কম্পানিগুলো হচ্ছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্। ডিএসইর লিস্টিং কমিটি কম্পানিগুলোর আইপিও আবেদন অনুমোদনের পর গতকাল রবিবার তা পরিচালনা পরিষদে উপস্থাপন করা হয়। পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) পাঠানো হবে। এসইসি কম্পানিগুলোর আইপিও চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি প্রথমে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করে। পরে কম্পানিটি ফিঙ্ড প্রাইস পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করে। কম্পানিটি ফিঙ্ড প্রাইজ পদ্ধতিতে ৩ দশমিক ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ছাড়বে। এর ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আবেদন করে গত আট মাস আগে। কিন্তু বুক বিল্ডিং পদ্ধতি এসইসি কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করায় এ প্রতিষ্ঠানের আবেদনও তখন বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে কম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতির পরিবর্তে ফিঙ্ড প্রাইস পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির আবেদন করেছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১১৫ টাকা (১০৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ)। কম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তিন কোটি শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করলেও বর্তমানে তা কমিয়ে দুই কোটি ৬০ লাখ করার প্রস্তাব করেছে। ফলে প্রিমিয়ামসহ এ কম্পানির আইপিও সাইজ দাঁড়াবে ২৯৯ কোটি টাকা। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানিটি পুঁজিবাজারে চার লাখ ৫০ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ছয় কোটি ৫২ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে। কম্পানিটির অফার প্রাইস ২৪৫ টাকা। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্য প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ১৪৫ টাকা। কম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড।

News Source


জীবন বীমা তহবিলের সঞ্চিত অর্থের নির্ধারিত অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নির্দেশ

জীবন বীমা তহবিলের সঞ্চিত অর্থের নির্ধারিত অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এসইসির এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘জীবন বীমা তহবিলের প্রায় ১৪ হাজার কোটির বেশি টাকা অলসভাবে ব্যাংকে পড়ে আছে। এই টাকা কীভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায়, তা নিয়ে আমরা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কমিশন এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তারা আমাদের একটি প্রস্তাব দিতে বলেছে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এখন আমরা সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রস্তাব তৈরি করব।’
কিন্তু বীমা কোম্পানিগুলো বাজারের এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছে না। প্রতিদিনই যেভাবে সূচকের পতন হচ্ছে তাতে জীবন বীমা তহবিলের টাকা বিনিয়োগে ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বীমা অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। দেশে বেসরকারি খাতের ১৭টি জীবন বীমা কোম্পানির লাইফ ফান্ডের ১৪ হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। এ অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় পড়ে থাকলেও চড়া সুদের কারণে তা শিল্পায়নের কাজে আসছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বিষয়টি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষেরও নজরে এসেছে। বিনিয়োগ স্বাধীনতা না থাকায় বিপুল পরিমাণ এ অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে গচ্ছিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বীমা আইন অনুযায়ী, জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে তাদের মোট তহবিলের ৫০ শতাংশ অর্থ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখতে হয়। এ ছাড়া মোট তহবিলের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ অর্থ সরকারি বন্ডসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। বীমা আইনের এসব নীতিমালার কারণে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর তহবিল অলস পড়ে থাকে বলে জানা গেছে।
বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ নীতিমালার আইনটি ‘ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট ১৯৩৮’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পুরনো এ আইনের কারণেই বীমা কোম্পানিগুলোর তহবিলের বহুমুখী বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। অপরদিকে বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হয়নি এখনো। আইনের ফাঁদে পড়ে যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণের অর্থ উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। 
জানা গেছে, বিশ্বের নামিদামি জীবন বীমা কোম্পানির রয়েছে নিজস্ব মিউচুয়াল ফান্ড। এদের মধ্যে অন্যতম আমেরিকার এআইজি লাইফ, প্রুডেনশিয়াল ফিন্যান্সিয়াল, মেটলাইফ, জার্মানির অ্যালিয়াঞ্জ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, ইতালির জেনারেলি গ্রুপ, যুক্তরাজ্যের আভিভা ও কানাডার ম্যানুলাইফ। এসব কোম্পানি প্রিমিয়ামের বড় একটা অংশ মূল কোম্পানির লাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে। বাকিটা নিজস্ব মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে। এরপর যা থাকে তা শেয়ারবাজারের মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করে। উন্নত বিশ্বে ব্যাংক সুদের হার কম হওয়ায় এসব দেশের বীমা কোম্পানিগুলো ব্যাংকে আমানত হিসেবে বিনিয়োগ করে না। কিন্তু বাংলাদেশে উচ্চ সুদের হারের কারণে বীমা কোম্পানিগুলো প্রিমিয়ামের টাকা ব্যাংকে ফেলে রাখতেই পছন্দ করে।

News Source


শেয়ারবাজার ছেড়ে গেছে ৬ লাখ বিনিয়োগকারী


সোম, ১০ অক্টোবর ২০১১, ২৫ আশ্বিন ১৪১৮
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়ে চলে গেছেন। পুঁজিবাজারে বিপর্যয়ের পর বিনিয়োগে নিরুত্সাহিত হওয়ায় এসব বিনিয়োগকারী তাদের বিও হিসাব নবায়ন করেননি। বছরের শুরুতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিডিবিএল) বিও হিসাবের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে গেলেও বর্তমানে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
বিও হিসাব নবায়ন না করা বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশই প্রাথমিক শেয়ার পাওয়ার জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করতেন। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে নতুন কোনো আইপিও না আসায় এসব বিনিয়োগকারী উত্সাহ হারিয়ে ফেলেন। অনেক বিনিয়োগকারী লটারিতে শেয়ার পাওয়ার জন্য ১০-১৫টি বিও হিসাব পরিচালনা করতেন। বাজার চাঙ্গা থাকা অনেক আবেদন করে লটারিতে দু’এক লট শেয়ার পেলেও ভালো মুনাফা করা যেত। নতুন আইপিও না থাকায় তাদের বিও হিসাবগুলো কাজে লাগছে না। তাছাড়া মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্ট ও এমআই সিমেন্টের প্রাথমিক শেয়ার পাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাতে অনেকে আইপিওর প্রতিও উত্সাহ হারিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক বিও হিসাব নবায়ন না হওয়ার এগুলোই মূল কারণ।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে দেশে বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৪ লাখ। এরমধ্যে মাত্র ১১ লাখ বিও হিসাবের মাধ্যমে নিয়মিত শেয়ার লেনদেন করা হয়েছে। ১৩ লাখ বিও হিসাবে কখনও কোনো শেয়ার ছিল না। এসব বিও হিসাব শুধু প্রাথমিক শেয়ারে আবেদনের জন্য ব্যবহূত হয়। আইপিও আবেদনের পর প্রতিবারই লটারিতে ব্যর্থ হওয়ায় হিসাবগুলোতে কখনও কোনো শেয়ার জমা হয়নি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিনিয়োগ অনুকূল বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশের পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ওই সময় বিদ্যুত্ ও গ্যাস সংকটের কারণে উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগে মন্দা বিরাজ করায় শেয়ারবাজারে অর্থপ্রবাহ ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। গত বছর বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেওয়ায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ওই সময় প্রতি দিনই বিপুলসংখ্যক মানুষ নতুন বিও হিসাব খুলে শেয়ারবাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকেন।
বিনিয়োগকারী এবং অর্থপ্রবাহ বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভালো শেয়ারের জোগান বৃদ্ধিতে ব্যর্থতা এবং সুযোগসন্ধানীদের কারসাজির ফলে বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দর অতি মূল্যায়িত হয়ে পড়ে। এর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে গত ডিসেম্বরে বাজারে বড় ধরনের ধস নামে। বাজারে তারল্য সংকট তীব্র হয়ে ওঠায় একের পর এক বিপর্যয়ে লোকসানের মুখে পড়েন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। এতে শেয়ারবাজার সম্পর্কে নতুন বিনিয়োগকারীদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এ কারণে অনেকেই লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যান। এদের অনেকেই এবার বিও হিসাব নবায়ন করেননি।
সিডিবিএল সূত্রে প্রাপ্ত হিসাবে দেখা গেছে, গত মার্চ মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আওতাধাীন ব্রোকারেজ হাউসগুলোর আওতায় মোট ৩৪ লাখ বিও হিসাব চালু ছিল। ওই সময় বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২৫ লাখ ৫ হাজার ৭০২ জন পুরুষ এবং ৮ লাখ ৭৯ হাজার ২১২ জন নারী ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বাকি ৮ হাজার ৬৩৩টি হিসাব খোলা হয়েছিল।
মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে নবায়ন শুরু হলে বিও হিসাবের সংখ্যা ক্রমেই কমতে থাকে। ৩০ জুন নবায়নের নির্ধারিত সময় শেষে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৯ হাজার ৭১৭টিতে দাঁড়ায়। নবায়ন প্রক্রিয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ লাখ ৬০ হাজারে। সর্বশেষ গত সপ্তাহ পর্যন্ত এ সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ১০৯-এ দাঁড়িয়েছে। হিসাব পরিচালনাকারীদের মধ্যে ২০ লাখ ৫২ হাজার ২২৭ জন পুরুষ এবং ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৯২ জন নারী। বাকি বিও হিসাবগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে চাইলে সিডিবিএলের আওতাধীন যে কোনো ডিপিতে (ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট) একটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খুলতে হয়। একজন ব্যক্তি একটি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে একক নামে একটি এবং যৌথ নামে একটি বিও হিসাব খুলেত পারেন।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর তফসিল-৪ অনুযায়ী, বিও হিসাব পরিচালনার জন্য ডিপজিটরি অংশগ্রহণকারী বা বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত হারে বার্ষিক হিসাব রক্ষণ ফি প্রদান করে হিসাব নবায়ন করতে হয়। এর আগে পঞ্জিকা বর্ষ হিসাবে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে এই ফি অগ্রিম নেওয়া হতো। তবে গত বছর এসইসি বিও হিসাব নবায়নের সময় পরিবর্তন করে জুন মাস নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী গত ৩০ জুন ছিল ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য বিও হিসাব নবায়নের শেষ সময়। প্রতিটি বিও হিসাব নবায়নের জন্য বর্তমানে ৫০০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়। এরমধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা এবং এসইসি ৫০ টাকা পায়। বাকি ২০০ টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
সিডিবিএল সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৪৪টি। ২০০৮ সালে তা ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৪টিতে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালের শেষ দিকে এসে বিও হিসাবের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে নবায়ন না করায় বিপুল পরিমাণ বিও নিষ্ক্রিয় বিও হিসাব বাতিল করার পর ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিও হিসাবের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০টিতে দাঁড়ায়। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের আওতায় বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৭। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়ন না করায় গত বছর জুলাই মাসে প্রায় ১ লাখ এবং অক্টোবরে প্রায় ৩০ হাজার বিও হিসাব বাতিল করা হয়। তা সত্ত্বেও ৩১ ডিসেম্বর বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৮ জনে দাঁড়ায়। সেই হিসাবে এক বছরে পুঁজিবাজারে নতুন প্রায় ১৯ লাখ ৪২ হাজার বিনিয়োগকারী যুক্ত হন। সাম্প্রতিক বিপর্যয়ে বড় ধরনের লোকসান দেওয়ার পর অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়ে চলে যান। এসব বিনিয়োগকারীই নির্ধারিত সময়ে নবায়ন ফি জমা দেননি।

Sunday, October 9, 2011

জীবন বীমার সঞ্চিত অর্থ পুঁজিবাজারে আনার প্রস্তাব [proposal for life insurance fund in Dhaka share market]

ঢাকা, অক্টোবর ৯ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জীবন বীমা তহবিলের সঞ্চিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশন।  রোববার সকালে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে দেখা করে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।

এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "জীবন বীমা তহবিলের ২ হাজার কোটির বেশি টাকা ব্যাংকে পড়ে রয়েছে। এই টাকা কিভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়, সেটি নিয়ে আমরা কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।"
"কমিশন এক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তারা আমাদের একটি প্রস্তাব দিতে বলেছে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এখন আমরা সদস্যদের সাথে আলোচনা করে একটি প্রস্তাবনা তৈরী করব।"  আলোচনার সময় সভাপতির সঙ্গে এসোসিয়েশনের আরো দুই জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

শেয়ার বাজারে বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ

শেয়ার বাজারে  বিদেশী বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসাবে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বনিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার শেয়ারবাজারে এ ফান্ড বিনিয়োগ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায় ২০ কোটি ডলার (১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে অরিওস ক্যাপিটাল লিমিটেড। বিনিয়োগকারীদের হিসাব পরিচালনাকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২ শতাংশেরও কম।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফিনান্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন আল কাসেম বলেন, ফান্ডটি গঠনের উদ্যোগ ভালো। তবে আইনি কিছু সমস্যা আছে। এ সমস্যা দূর করা দরকার। ফান্ডটির কার্যক্রম শুরু হলে তারা আমাদের বাজারের কমদামি শেয়ারগুলো কিনবে। এতে বাজারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।

এছাড়া সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেস (এসএএফই) বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেয়। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে প্রথম বিনিয়োগ শুরু করে বিশ্বের বৃহত্তম ফান্ড ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ফ্রাঙ্কলিন টেমপেস্নটনও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। গত জুলাইয়ে এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ক্যাসলস্টোন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গতবছরের অক্টোবরে নেক্সট-১১ ইমার্জিং মার্কেটস ফান্ড চালু করে।

জানা গেছে, ২০০৫ সালে গোল্ডম্যান স্যাক্স বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির ১১টি (নেক্সট-১১) দেশের অন্যতম হিসেবে বাংলাদেশকে চিহ্নিত করে। ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, নেক্সট-১১ দেশগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গোল্ডম্যান স্যাক্স নেক্সট-১১ ইকুইটি ফান্ড নামে একটি তহবিল গঠন করে। ওই তহবিলের একটি অংশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

ফ্রাঙ্কলিন টেমপেস্নটন গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির টেমপেস্নটন ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস ফান্ডের একটি অংশ এদেশে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ক্যাসলস্টোন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গতবছরের অক্টোবরে নেক্সট-১১ ইমার্জিং মার্কেটস ফান্ড চালু করে। ইতোমধ্যেই এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে। নেক্সট-১১ ইমার্জিং মার্কেটস ফান্ডের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ফান্ডটির বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এ তহবিলের ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বর্তমানে ফান্ডের পোর্টফোলিওতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার আছে (টপ টেন হোল্ডিংস) এমন ১০টি কোম্পানির তালিকায় বাংলাদেশের একটি কোম্পানির অবস্থান সপ্তম।

ডিএসইর প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ার মূল্য দরপতন হয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে। কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বিদেশি কোম্পানি আসবে_ এটাই স্বাভাবিক। বিদেশি কোম্পানি দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে বাজারের গভীরতা বাড়বে। ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী বলেন, বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ করলে বাজার সম্প্রসারিত হবে।

News Source


বৃহস্পতিবার “নেক্সট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেম” চালু হচ্ছে [Next generation trading system at DSE]

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে “নেক্সট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেম” চালু করতে যাচ্ছে চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আগামী বৃহস্পতিবার এ সফ্টওয়্যারটি উদ্বোধন করা হবে।
এ বিষয়ে সিএসই’র সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ অর্থনীতি প্রতিদিনকে জানান,  বর্তমানে প্রচলিত পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেক্টিভিটি প্রযুক্তি ছাড়াও “নেক্সট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেম” এ থাকছে আধুনিক ওয়েব প্রটোকল। এতে ট্রেডিংয়ের কানেক্টিভিটি সংক্রান্ত যে কোন প্রকার জটিলতার অবসান ঘটবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও আইপ্যাড, অফিসে কিংবা বাসায় বা যে কোন জায়গা থেকেই বিস্তারিত তথ্যের ভিত্তিতে সরাসরি অনলাইন রিয়েল টাইমে (সঠিক সময়) ট্রেডিংয়ে অংশ গ্রহণ করতে পাবেন। এতে করে সিএসই’র ইন্টারনেট ট্রেডিং সিস্টেমে যে অপূর্ণাতা রয়েছে তা অবশেষে পূর্ণতা পাবে। যদিও অনেক আগে থেকেই সিএসইতে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু ছিল। যা সিএসইকে সম্পূর্ন অনলাইন করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, এটি একটি অত্যাধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সফ্টওয়্যার। এই সিস্টেম আগের অন্যান্য সফ্টওয়্যারের তুলনায় প্রায় শতগুণ ক্ষমতা সম্পন্ন। যা বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে বিশেষ সহায়তা করবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এ সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সফ্টওয়্যারটির উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত মক ট্রেডিং চালু থাকবে।  প্রথম পর্যায়ে সিএসই র্শীর্ষ ২০ সিকিউরিটিজ হাউজকে এ প্রযুক্তি ব্যবহার আওতায় আনা হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল সিকিউরিটিজ হাউজ গুলোকে এ প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। তাই এই সফ্টওয়্যারটি চলতি মাসের ১৩ তারিখে থেকে চালু করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

News Source


১৩ ব্যাংকের সীমার বেশি ঋণ রয়েছে - ব্যাংক খাতে ঋণ-আমানত অনুপাত ৭৯ [CDR of Banking Sector]

দেশের ব্যাংক খাতে ঋণ-আমানতের অনুপাত (সিডিআর রেশিও) সীমার মধ্যেই রয়েছে। তবে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৩টি ব্যাংকের এই অনুপাত সীমার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের শিথিল নীতিতে হিসাব করে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে বর্তমানে সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের শেষভাগে এসে রাজনৈতিক চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তারা ঋণ-আমানত অনুপাত হিসাবে শিথিল নীতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার পর থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর আমানতের হিসাব করতে গিয়ে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও আন্তব্যাংক আমানত (কলমানি নয়) বিবেচনায় নিচ্ছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর সিডিআর অনুপাত আগের চেয়ে ২ শতাংশের মতো কমে আসে। তাতে নতুন করে ঋণ-বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর সক্ষমতাও বেশ খানিকটা বাড়ে। 
যদিও দেশে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংকোচিত মুদ্রানীতিতে থাকার পরামর্শ, বিশেষত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) দেশের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সে পথে অগ্রসর হতে পারছে না। প্রতিবেশী ভারতের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে কিছু কম হওয়া সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বড় ধরনের সংকোচনের মধ্যে রয়েছে। ভারতে সিডিআর অনুপাত ৭৫ শতাংশ। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিথিল নীতির মতো সিডিআর অনুপাতের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক নমনীয় পথ অনুসরণ করছে। সিডিআর অনুপাত হিসাবে ভারত থেকে বাংলাদেশ ১০ ভাগ বেশি রয়েছে, যা ৮৫ শতাংশ। 
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুত গত ৮ সেপ্টেম্বরের হিসাবে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিডিবিএলের আমানতের তুলনায় ঋণ বিতরণ হয়েছে সর্বাধিক। এই বিশেষায়িত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি তাদের আমানতের চেয়ে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটির সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১৬৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ব্যাংকটির আমানত ৪০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিপরীতে ঋণ দিয়েছে ৬৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিলুপ্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন করে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক করা হয়েছিল। এই ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১১৮ দশমিক ০১ শতাংশ। ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ এক হাজার ২৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর ঋণ দেওয়া আছে এক হাজার ৩৭০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। 
এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১০৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। ১০৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঋণ-আমানত অনুপাত রয়েছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের। ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সিডিআর অনুপাত হয়েছে ১০১ দশমিক ৩০ শতাংশ। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৯৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৯১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঋণ-আমানত হয়েছে ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। আমানতের ৮৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রখাতের বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিক ব্যাংক। অগ্রণী ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত হয়েছে ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সিডিআর অনুপাত রয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

Friday, October 7, 2011

অপ্রদশিত অর্থ বাংলাদেশ ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুপারিশ

বাংলাদেশ ফান্ডের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা চেয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। একই সাথে এ ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাণির্জিক ব্যাংকগুলোর উপর আরোপিত বিধি নিষেধ শিথিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে গত ২৬ সেপোটম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড একাসচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) পাঠানো এক প্রস্তাবনায় নিজেদের রাইট শেয়ার ইস্যুর ব্যাপারেও সরকারের কাছে সুপারিশের আবেদন জানিয়েছে আইসিবি।
এইসি চেয়ারম্যান বরাবরে আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফায়কুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পুঁজিবাজার উন্নয়নে নয় দফা প্রস্তবা করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ, বার্ষিক ফি কমানো ও প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে (আইপিও) বিষেশ কোটা বরাদ্দ রাখা। সরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠন সমূহের শেয়ার অফলোড, বাংলাদেশ ফান্ডের আয় করমুক্ত রাখা, পুঁজিবাজারে বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ নূন্যতম ৫০ শতাংশ (তালিকাভুক্ত ও তালিকা বর্হিভূত সিকিউরিটিজে) বিনিয়োগ সুবিধা দেয়া এবং ফান্ডের অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে বার্ষিক ফি সর্বোচ্চ ১ লাখ করা ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অপর দিকে আগামীতে যে সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়া হবে সেগুলোর নুণ্যতম ৫ শতাংশ শেয়ার বাংলাদেশ ফান্ডের অনুকূলে বরাদ্দের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে আইসিবি। একই লক্ষ্যে পরবর্তীতে রাষ্ট্রায়ত্ব যে সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়া হতে সেগুলোর অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার বাংলাদেশ ফান্ডের জন্য সংরক্ষনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েক্কুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে বাংলাদেশ ফান্ডসহ অন্যান্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ফান্ড ও বিভিন্ন মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনার প্রদান করা যেতে পারে।

News Source